সল্টলেকের একটি বিনোদন পার্ক খুলে যাওয়ার প্রথম দিনে। বৃহস্পতিবার।- নিজস্ব চিত্র
টানা ছ’মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পরে সল্টলেকের চার নম্বর সেক্টরের একটি নামী বিনোদন পার্ক বৃহস্পতিবার থেকে খুলে গেল।
ওই বিনোদন পার্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অভিজিৎ দত্ত বলেন, “অক্টোবর মাসে আনলক-৫ পর্বে কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বিনোদন পার্ক খোলার কথা বলা হয়েছে। রাজ্য সরকারও এ নিয়ে আপত্তি জানায়নি। তাই আমরা সমস্ত স্বাস্থ্য-বিধি মেনেই আমাদের বিনোদন পার্ক খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
কর্তৃপক্ষের দাবি, পার্ক খুললেও কোনও রাইডেই পাশাপাশি বসার ব্যবস্থা নেই। এমনকি রাইডে যত জন চাপতে পারেন, তার ৩০ শতাংশকে চাপার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। পার্কে ঢোকার আগে দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। পার্কে যথেষ্ট স্যানিটাইজ়ারও রাখা হয়েছে। রাইডগুলি জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।
ওই পার্কের ভিতরেই ওয়াটার পার্কটির চত্বরে নানা ধরনের রাইডের পাশাপাশি রয়েছে সুইমিং পুলের মতো একটি বিশাল জলাধার। সেটিতে স্নান ও সাঁতারের ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে এখনও সংক্রমণের আশঙ্কায় শুধুমাত্র পেশাদার ছাড়া সুইমিং পুলে সকলের সাঁতার নিষিদ্ধ, সেখানে সবাইকে সাঁতারের অনুমতি কী ভাবে দিচ্ছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ? জল থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাতেই এখনও পর্যন্ত সুইমিংপুল খোলার অনুমতি দেয়নি কেন্দ্র। সাঁতারের সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কি সম্ভব? যারা সাঁতার কাটছেন, তাঁদের লালারস জলে মিশে কি করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছে না? যদিও অভিজিৎবাবুর দাবি, “আমাদের জলের রাইডই হোক বা সুইমিং পুল, কোথাও জল আবদ্ধ থাকে না। জলকে ধারাবাহিক ভাবে পরিশুদ্ধ করা হয়। জলে যথেষ্ট পরিমাণ ক্লোরিন দিয়ে সব জীবাণু নষ্ট করা হয়।”
প্রথম দিন অবশ্য হাতে গোনা ৫৪ জন ওই বিনোদন পার্কে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। কয়েক জনকে দেখা গেল, মাস্ক পরে বিভিন্ন রাইডে চড়ছেন।
অন্য দিকে, নিউ টাউনে ইকো পার্কে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে বলেই খবর। নিউ টাউনের কাছে কোঁচপুকুরের একটি বিনোদন পার্কের রেস্তরাঁ খুলেছে। তবে রাইড বন্ধই।