—ফাইল ছবি
বিমান থেকে চুঁইয়ে পড়ছিল জল। কিন্তু ককপিটে চালকের কাছে বার্তা গিয়েছিল যে, তেল চুঁইয়ে পড়ছে। মাঝ আকাশে, মাটি থেকে প্রায় ৩৫ হাজার ফুট উঁচুতে এই ভুল সঙ্কেতের কারণে বুধবার সকালে রীতিমতো হুলস্থুল বেধে যায় কলকাতা বিমানবন্দরে। জরুরি অবস্থা জারি করে ওই বিমানটিকে নামিয়ে আনা হয় মাটিতে। সে সময়ে অবতরণের জন্য কলকাতায় ৬টি বিমান পৌঁছে গেলেও বেশ কিছুক্ষণ আকাশেই চক্কর কাটতে হয় তাদের। তবে বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করানোর পরে ইঞ্জিনিয়ারেরা পরীক্ষা করে দেখেন, বিমান থেকে চুঁইয়ে বেরোচ্ছে জল।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ১৮৩ জন যাত্রী নিয়ে এ দিন মুম্বই থেকে গুয়াহাটি যাচ্ছিল স্পাইসজেটের ওই বিমানটি। কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই উড়ে যাচ্ছিল সেটি। কিন্তু জামশেদপুরের আকাশে এসে হঠাৎই বিমানের চালক কলকাতার এটিসি-কে জানান, বিমান থেকে তেল চুঁইয়ে পড়ছে। সকাল তখন প্রায় সাড়ে ৮টা।
মাঝ আকাশে বিমান থেকে তেল চুঁইয়ে পড়ার মতো ঘটনা ‘চূড়ান্ত জরুরি’ পরিস্থিতি বলে বিবেচিত হয় বিমান পরিবহণের ক্ষেত্রে। স্পাইসজেটের ওই বিমানের চালকের বার্তা পেয়ে কলকাতা বিমানবন্দরেও জরুরি অবস্থা জারি হয়। এই অবস্থায় যতক্ষণ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিমানটিকে অবতরণ করানোর পরে সেটি রানওয়ে খালি করে বেরিয়ে না-যাচ্ছে, তত ক্ষণ অন্য কোনও বিমান ওঠা-নামার অনুমতি দেওয়া হয় না। ফলে এ দিন ওই সময়ে কলকাতার আকাশে আরও ছ’টি বিমান চলে এলেও সব ক’টিকেই চক্কর কাটতে বলা হয়।
এ দিন জরুরি ভিত্তিতে বিমানটিকে অবতরণ করানোর জন্য রানওয়ের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় দমকল বাহিনীকে। সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য হাজির ছিলেন আধিকারিকেরাও। বিমান মাটি ছোঁয়ার আগে রানওয়ে পর্যবেক্ষণ করে আসেন দমকলের আধিকারিকেরা। এর পরে সকাল ৮টা ৫৮ মিনিটে বিমানটি কলকাতার মাটি ছোঁয়। তার পরেই বিমানের পিছনে পিছনে যায় দমকলের গাড়ি। তখনই দেখা যায়, রানওয়েতে তেল পড়ছে না। বিমানটিকে চার্লি ৫ পার্কিং বে-তে দাঁড় করিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয়। এর পরে ইঞ্জিনিয়ারেরা পরীক্ষা করে দেখেন, বিমান থেকে তেল নয়, জল চুঁইয়ে বেরোচ্ছে। পরে অন্য বিমানে ওই যাত্রীদের গুয়াহাটি পাঠানো হয়।