ফাইল চিত্র।
এ বছর পুজোয় পঞ্চমীতে সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুতের সর্বাধিক চাহিদা ২১০০ মেগাওয়াট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বছর পঞ্চমী রবিবার থাকায় অধিকাংশ অফিস বন্ধ ছিল। ফলে চাহিদা তুলনায় কম ছিল। বিদ্যুতের সর্বাধিক চাহিদা ছিল ১৪৩৮ মেগাওয়াট। এ বছর সিইএসসি-কে পঞ্চমীর দিনই বাড়তি ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে রাখতে হচ্ছে। ষষ্ঠী থেকে অধিকাংশ অফিস, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে বলে বিদ্যুতের চাহিদাও কমবে। পুজোর মধ্যে দশমীতে সব থেকে কম, ১৪২০ মেগাওয়াটের আশেপাশে বিদ্যুতের চাহিদা থাকবে বলে ধরা হয়েছে।
বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে সিইএসসি-র ভাইস প্রেসিডেন্ট (বণ্টন) অভিজিৎ ঘোষ এ কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, এ বছর ৪১৫০টি পুজো কমিটি বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করেছে। এর বাইরেও অসংখ্য বাড়ি ও আবাসনের পুজো রয়েছে যারা নিজেদের মিটার থেকেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে। গত বছর মোট ৪৩২৫টি বারোয়ারি পুজো কমিটিকে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছিল। অভিজিৎবাবুর দাবি, আগামী দু’-তিন দিনের মধ্যে আরও ১০০-১৫০টি নতুন আবেদন জমা পড়তে পারে। এর জন্য চাহিদা বাড়লেও সরবরাহের দিক থেকে কোনও সমস্যা হবে না বলেই তিনি জানিয়েছেন।
এ বছর এখনও পর্যন্ত কলকাতার যে পুজো কমিটিগুলি বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করেছে, তার মধ্যে সব থেকে বেশি বিদ্যুৎ নিচ্ছে বাটানগর নিউল্যান্ড পুজো কমিটি। তার পরেই রয়েছে টালা পার্ক প্রত্যয় ও ম্যাডক্স স্কোয়ার। হাওড়া-শ্রীরামপুর এলাকার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বালি দেশবন্ধু ক্লাব।
অভিজিৎবাবু জানান, পুজোয় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে এবং কোনও যান্ত্রিক বিভ্রাটের কারণে সমস্যা তৈরি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ২০০টি মোবাইল ভ্যান-সহ বিদ্যুৎ কর্মীদের নিয়ে গঠিত ১০০টি বিশেষ দলও তৈরি রাখা হচ্ছে।