এসি কেনার হিড়িকে বাড়ছে বিদ্যুৎ চাহিদা

এ বার গরমের শুরুতেই বিদ্যুতের চাহিদা গত বছরের সর্বোচ্চ চাহিদাকে প্রায় ছুঁতে চলেছে। সিইএসসি কর্তাদের ব্যাখ্যা, এসি কেনার বিপুল হিড়িকই এই বর্ধিত চাহিদার পিছনে মূল কারণ।

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ০০:১৬
Share:

এ বার গরমের শুরুতেই বিদ্যুতের চাহিদা গত বছরের সর্বোচ্চ চাহিদাকে প্রায় ছুঁতে চলেছে। সিইএসসি কর্তাদের ব্যাখ্যা, এসি কেনার বিপুল হিড়িকই এই বর্ধিত চাহিদার পিছনে মূল কারণ।

Advertisement

সিইএসসি এলাকায় গত বছর বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ২০০০ মেগাওয়াটের কিছু বেশি। সংস্থা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, এ বছর গরমে চাহিদা কমপক্ষে ২০৩৫ মেগাওয়াটে গিয়ে দাঁড়াতে পারে। বিদ্যুৎ শিল্পমহলের মতে, যে কোনও বড় শহরে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে পারে শুধু ভোগ্যপণ্যের ব্যবহার বাড়লে। অর্থাৎ যত বেশি এসি, গিজার, ওয়াশিং মেশিন বিক্রি হবে, তত বাড়বে বিদ্যুৎ-চাহিদা। তাঁদের দাবি, এ শহরেও এখন বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের ব্যবহার, বিশেষত এসি কেনার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণেই।

গ্রাহকেরাও বলছেন, কয়েক বছর ধরেই গরমে কলকাতার তাপমাত্রা সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ বিলের কথা ভেবে যাঁরা এত দিন এসি কেনার কথা ভাবেননি, তাঁরাও এখন কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। সিইএসসি-র এক কর্তা জানান, ছোটখাটো দোকান এবং রেস্তোরাঁতেও এখন এসি লাগানোর চল হয়েছে। এতে ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়ছে।

Advertisement

সিইএসসি-র হিসেবে, গত বছর ১ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের কাছে এসি-র আবেদনপত্র জমা পড়েছিল ৬,৩৬০টির মতো। এ বছর, একই সময়ে অঙ্কটা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি, গত বছরে সিইএসসি এলাকায় নতুন এসি লেগেছিল ৩৯ হাজারের মতো। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত আবেদনত্র জমা পড়ার যা বহর, তাতে সংখ্যাটা ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংস্থা কর্তৃপক্ষ। এক কর্তা জানান, ১১ এপ্রিল যে দিন কলকাতায় তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রির উপর, সে দিন বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে হয়েছিল ১৮৯৭ মেগাওয়াট।

সিইএসসি-র দাবি, এসি-র ব্যবহার বাড়ায় গ্রাহকদের চটজলদি পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এসি সংযোগের আবেদন অনলাইনে করতে পারছেন গ্রাহকেরা। দিন দুয়েকের মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে সংযোগ। আর তার জেরে সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদাও বাড়ছে তরতরিয়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement