ফাইল চিত্র।
ভোটের জন্য তারা প্রস্তুত। রাজ্য সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির বদল হয়নি। কলকাতা পুরসভার ভোট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এমনই ব্যাখ্যা দিতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভার ভোট করানো কবে সম্ভব হবে, দেশের শীর্ষ আদালত তা জানতে চেয়েছে কমিশনের কাছে। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা করেছেন উত্তর কলকাতার বাসিন্দা শরদকুমার সিংহ। তাঁর আর্জি, দ্রুত পুরভোট করানো হোক। আর নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত আদালত নিযুক্ত একটি কমিটি পুরসভার মাথায় বসানো হোক।
উল্লেখ্য, গত ৭ মে ফুরিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত কলকাতা পুর বোর্ডের মেয়াদ। তার পরে পুর আইন (১৯৮০)-এর ৬৩৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী প্রশাসকমণ্ডলী গঠন করেছে রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতর। অতিমারির পরিস্থিতিতে ভোট করানো নিয়ে মার্চের মাঝামাঝি সর্বদল বৈঠক করেছিল কমিশন। সেখানে স্থির হয়, করোনার প্রকোপের কারণে আপাতত পুরভোট হবে না। তবে কমিশন জানায়, তারা ভোটের জন্য প্রস্তুত। সুপ্রিম কোর্টে কমিশনের দেওয়া হলফনামায় সেই তথ্য থাকবে বলে খবর। সঙ্গে তারা আদালতকে জানাতে পারে, পুরভোট নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে একাধিক বার আলোচনা হয়েছে। তারিখ নিয়ে যখন রাজ্যের সঙ্গে কথা এগোচ্ছিল, সেই সময়ে করোনা-ঝড় আসায় নির্বাচন বন্ধ রাখতে হয়। এখনও পর্যন্ত সেই পরিস্থিতি বদলায়নি। আর নিয়মানুসারে, তারিখ নির্ধারণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে হয় নির্বাচন কমিশনকে।
এর পাশাপাশি, ফালাকাটা বিধানসভার উপনির্বাচনও এখন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতর থেকে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা মুশকিল। রাজ্যের মতকে মান্যতা দিয়ে কমিশনও জানিয়েছে, ফালাকাটার উপনির্বাচন আপাতত হচ্ছে না। বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, শাসক দলই পুরভোট করতে চায় না। শাসক দল অভিযোগ মানতে চায়নি। তাদের পাল্টা বক্তব্য, মানুষের মধ্যে তৃণমূলের জনপ্রিয়তা রয়েছে। তারা নির্বাচন করতে ভয় পায় না।