এ বার আরজি কর হাসপাতাল থেকে পালাল রোগী।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে সুস্থ হয়ে সন্তানকে নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ থেকে কাউকে না জানিয়েই বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন এক তরুণী। গত সপ্তাহের সেই ঘটনায় পুলিশ অবশ্য তাঁদের আটক করে ফের হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ বার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে এক বৃদ্ধ নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িয়ে বাড়ি চলে গেলেন। গত শুক্রবারের এই ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালের নজরদারি ব্যবস্থা নিয়ে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নিরাপত্তাকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের প্রিন্সিপাল শুদ্ধোদন বটব্যাল।
১৯ তারিখ শিবপ্রসাদ সাউ (৭৫) নামে বিমানবন্দর এলাকার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা নিয়ে আর জি করের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। করোনা পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে সব রোগীকে প্রথমে আইসোলেশন ওয়ার্ডেই রাখা হয়। সেই মতো শিবপ্রসাদবাবুকেও সেখানেই রাখা হয়। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হলে বৃদ্ধকে অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৃদ্ধের পরিবারকে জানান।
বৃদ্ধের ছেলে পিন্টু সাউ বলেন, ‘‘আমরা ২১ তারিখ বাবাকে দেখতে গিয়েছিলাম। ওয়ার্ডের কর্তব্যরত কয়েক জন জানালেন, বাবাকে পাওয়া যাচ্ছে না।’’ তিনি জানান, ২২ তারিখ সকালে তাঁরা আর জি কর হাসপাতালের আউটপোস্টে নিখোঁজ ডায়েরি করতে যান। সেই সময়ে তাঁর পড়শিরা মোবাইলে ফোন করে খবর দেন, শিবপ্রসাদবাবু বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। পিন্টুবাবুর কথায় ‘‘বাবা বাড়ি ফিরে আসায় স্বস্তি পেয়েছি। হাসপাতালের বিরুদ্ধেও কোনও অভিযোগ করিনি।’’
কেন আইসোলেশন ওয়ার্ড ছেড়ে চলে গেলেন শিবপ্রসাদবাবু?
অসুস্থ শিবপ্রসাদবাবু টেলিফোনে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। পিন্টুবাবু বলেন, ‘‘বাবা জানিয়েছিলেন তাঁর পাশের কোনও একটি শয্যায় এক রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। করোনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে ভেবে ভয় পেয়ে বাবা পালিয়ে আসেন। তবে বাবার এই বক্তব্য ঠিক কি না, তা যাচাই করে দেখিনি।’’
কী ভাবে ওই ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান আর জি কর হাসপাতালের প্রিন্সিপাল শুদ্ধোদন বটব্যাল। তিনি বলেন, ‘‘ওই ওয়ার্ডে একাধিক নিরাপত্তারক্ষী আছেন। তা সত্ত্বেও কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তারক্ষী-সহ সেই সময়ে ওই ওয়ার্ডে যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন সবাইকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’