প্রতীকী ছবি।
ছাতা সম্ভবত সেই বস্তু, হারিয়ে ফেলার তালিকায় যার নাম সবার উপরে। কিন্তু তার জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ!
এমনটাই ঘটেছে বছর বাহাত্তরের অনিল পালের ক্ষেত্রে। তাঁর ছাতা যে খুব দামি বা প্রিয় ছিল, তেমন নয়। অনিলবাবুর দাবি, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে সচেতন করার জন্যই তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত অফিসার অনিলবাবু থাকেন সল্টলেকে এইচবি ব্লকে। কাছেই এইচএ ব্লকে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পার্সোনাল ব্যাঙ্কিং শাখা। সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে তুলনায় বেশি টাকা রাখতে হয়। আশপাশের উচ্চ মধ্যবিত্ত বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেখানে। বৃদ্ধের দাবি, ‘‘তার মানে তো সেই অর্থে উচ্চবিত্ত কেউই ছাতা নিয়েছেন।’’ ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ছাতা খুঁজে বার করার জন্য বিধাননগর দক্ষিণ থানাকে অনুরোধ করেছেন অনিলবাবু।
বৃদ্ধের অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনার সূত্রপাত গত ২৫ জুন। তিনি ওই দিন দুপুরে ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। ক্যাশ কাউন্টারের উল্টো দিকে সোফায় নিজের ছাতাটি রেখে টাকা তুলে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখেন, ছাতা নেই! ‘‘কেউ তো ভুল করেও নিয়ে যেতে পারে’’ — এই ধারণায় অনিলবাবু খুব একটা বিশ্বাসী নন। তাঁর কথায়, ‘‘ছাতা এর আগে আমি অনেক হারিয়েছি। কখনও অভিযোগ করিনি। কিন্তু সল্টলেকে অভিজাত লোকেরা যে ব্যাঙ্কে যান, সেখান থেকে ছাতা উধাও হয়ে যাওয়ার গুরুত্ব আলাদা। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষেরও সতর্ক হওয়া উচিত। ক্যামেরা তা হলে বসানো হয়েছে কী করতে? ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ যদি আমার অভিযোগকে গুরুত্ব না দেন, তা হলে এমন কুকর্ম ভবিষ্যতেও চলবে।’’
খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশীদের সঙ্গেও বিভিন্ন কারণে মনোমালিন্য রয়েছে অনিলবাবুর। পড়শিদের একাংশের অভিযোগ, ছোটখাট কারণে আগেও তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। ছাতা হারানোর বিষয়ে পুলিশ অবশ্য এখনও অন্ধকারে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষেরও বক্তব্য জানা যায়নি।