ঘাতক বাস। পলাতক চালক। —ফাইল চিত্র।
রেড রোডের জে কে আইল্যান্ডের কাছে মিনিবাস দুর্ঘটনা এবং সেটির ধাক্কায় এক বাইক-আরোহী পুলিশকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় এখনও অধরা মিনিবাসের চালক। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হলেও
তাঁর সন্ধান মেলেনি। বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানো, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিনিবাসটির মালিকেরও এখনও খোঁজ মেলেনি। তিনি বাইরে আছেন বলে সূত্রের খবর। পুলিশ জানিয়েছে, মেটিয়াবুরুজ-হাওড়া রুটের ওই মিনিবাসটি রাস্তায় নামে ২০১৯ সালে। এক পুলিশকর্তা জানান, ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে গত এক বছরে বাসটির বিরুদ্ধে ৮৪টি মামলা রুজু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দুর্ঘটনায় আহতদের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। তাঁদের চিকিৎসা চলছে এসএসকেএম হাসপাতালে। আহত কয়েক জন যাত্রীর সঙ্গে কথাও বলেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের কয়েক জন পুলিশকে জানিয়েছেন, মেটিয়াবুরুজ থেকে মিনিবাসটির হাওড়া যাওয়ার কথা ছিল। ফোর্ট উইলিয়ামের পূর্ব গেটের কাছে জে কে আইল্যান্ড থেকে ডান দিকে ঘুরে ডাফরিন রোড ধরার কথা ছিল সেটির। যাত্রীরা জানিয়েছেন, ওই আইল্যান্ড ঘোরার কিছু আগেই হঠাৎ গতি বাড়িয়ে দেন চালক। কেন তিনি এমন করলেন, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
এ দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরা সেখান থেকে নমুনা সংগ্ৰহ করেছেন। বাসটির কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছিল কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও দেখেছেন তদন্তকারীরা। তবে সূত্রের খবর, ফুটেজে মিনিবাসটির রাস্তার ধারে সিমেন্টের পাঁচিলে ধাক্কা মারার কোনও ছবি ধরা পড়েনি।