শুক্রবার থেকে কলকাতা পুরসভা এলাকায় শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। —ফাইল চিত্র।
আজ, শুক্রবার থেকে কলকাতা পুরসভা এলাকায় শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। আর তার জন্য এ বারও কাজে লাগানো হচ্ছে পুরকর্মীদের। পুরসভার পার্সোনেল বিভাগ সূত্রের খবর, এই কাজে এ বার মোট ৮০৯ জন পুরকর্মীকে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এক দিকে যেখানে পুরসভায় প্রবল কর্মী-সঙ্কট, সেখানে দুয়ারে সরকারের জন্য বিপুল সংখ্যক কর্মীকে তুলে নেওয়ায় একাধিক বিভাগের কাজে সমস্যা হবে বলে অভিযোগ। বিশেষত, পুরসভা পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকের সংখ্যা এমনিতেই নগণ্য। তার উপরে প্রায় ১৫০ জন শিক্ষককে দুয়ারে সরকারের কাজে লাগানো হলে ওই সব স্কুলে পঠনপাঠন বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গত ২৫ অগস্ট পুরসভার চিফ ম্যানেজার (পার্সোনেল) দুয়ারে সরকার পরিচালনার জন্য
পুরকর্মীদের কাজে লাগানোর বিষয়টি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান। এর জন্য কাজে নেওয়া মোট ৮০৯ জন পুরকর্মীর অধিকাংশকেই নেওয়া হয়েছে শিক্ষা বিভাগ থেকে। পুরসভা পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, এখনও স্কুলে পরীক্ষা চলছে। কোথাও কোথাও মাত্র দু’-চার জন শিক্ষক মিলেই আস্ত স্কুল চালান। এমতাবস্থায় ওই সব স্কুল থেকে এক জন শিক্ষক শিবিরের কাজে চলে গেলে স্কুল চালানোই কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুর শিক্ষক বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে তিন জন শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে এক জনকে দুয়ারে সরকারের জন্য তুলে নেওয়া হয়েছে। বাকি দু’জন মিলে কী ভাবে স্কুলে পঠনপাঠন চালানো যাবে, সে বিষয়ে চিন্তায় রয়েছি।’’
পুরসভার মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) সন্দীপন সাহার অবশ্য দাবি, ‘‘স্কুলের পঠনপাঠন যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেই ভাবেই শিক্ষকদের দুয়ারে সরকারের জন্য নেওয়া হয়েছে। এই শিবিরেরও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এখানে পুর শিক্ষকদের কাজে লাগানোয় কোনও সমস্যা হবে না।’’ পুরসভার এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকার শিবিরের জন্য সমস্ত বিভাগ থেকেই কর্মীদের নেওয়া হয়েছে। এর ফলে পুর পরিষেবা কোনও ভাবেই বিঘ্নিত হবে না।’’