নুসরত জাহান এবং রূপলেখা মিত্র। ফাইল চিত্র।
ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণা মামলায় আরও এক অভিনেত্রীকে তলব করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই অভিনেত্রীর নাম রূপলেখা মিত্র। তাঁকে আগামী বুধবার ডেকে পাঠানো হয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, যে কোম্পানির মাথায় ছিলেন রাকেশ সিংহ
এবং নুসরত জাহান, ওই কোম্পানির ডিরেক্টর পদে ছিলেন রূপলেখাও। তদন্তকারীদের এ-ও দাবি, ওই
কোম্পানি বাজার থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা তুলে নয়ছয় করেছে। ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে যে সংস্থার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠছে, তার অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত, এই অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার ইডি অফিসে গিয়ে নুসরত তথা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান একাধিক অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। ওই অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীদের দাবি, সমবায়ের মাধ্যমে ফ্ল্যাট পাওয়ার জন্য টাকা জমা দিলেও ফ্ল্যাট পাননি তাঁরা। অভিযোগ, ওই সংস্থারই ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত। শঙ্কুদেব ওই অভিযোগকারীদের নিয়ে গড়িয়াহাট থানা এবং সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন কলকাতা পুলিশ এবং ইডির গোয়েন্দারা। এর আগেও তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে ওই ঘটনার পর পরই কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নুসরত জানান, অভিযোগ যখন করা হয়েছে, তার অনেক আগেই তিনি সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা সংস্থা ছেড়ে দিয়েছিলেন। এ ছাড়াও তিনি জানান যে, কয়েক কোটি টাকা তিনি সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণের টাকা তিনি কড়ায়-গণ্ডায় শোধ করে দিয়েছেন।
সোমবার ইডির নোটিস নিয়ে অভিনেত্রী-সাংসদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, মেল চেক করেননি। ইডি ডাকলে তিনি অবশ্যই যাবেন। তদন্তে সব রকম সাহায্য করবেন।
অন্য দিকে, বেলঘরিয়ার রূপলেখার ফ্ল্যাট আছে একটি। সেখান থেকে সংবাদমাধ্যমকে রূপলেখা জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি এবং রাকেশ অন্য একটি সংস্থার ডিরেক্টর।