মঙ্গলবার সাতসকালে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হানা কলকাতার ভবানীপুর এলাকায়। নিজস্ব চিত্র।
ই-নাগেটসকাণ্ডে মঙ্গলবার সাতসকালে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হানা কলকাতার ভবানীপুর এলাকায়। পিজি হাসপাতালের পিছনের দিকে একটি জায়গায় এই তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে খবর। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত কিছু লেনদেনের খোঁজ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। আর সেই সূত্র ধরেই ইডি অভিযান চালাচ্ছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে শহরে মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে নামে ইডি। ১০ সেপ্টেম্বর গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলি, পার্ক স্ট্রিট, মোমিনপুরের বন্দর এলাকা, নিউটাউন-সহ শহরের ছ’টি জায়গায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করে, শাহি আস্তাবল রোডের বাসিন্দা আমির খান ‘ই-নাগেটস’ নামে একটি গেমিং অ্যাপ তৈরি করে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন। মূল অভিযুক্ত আমিরের বাড়ি থেকে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ নগদ উদ্ধার হয়। এ ছাড়া ১৩ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকার ক্রিপ্টো মুদ্রাও বাজেয়াপ্ত করে ইডি। পিএমএলএ আইনে মামলা শুরু হয়। পরে পলাতক আমিরকে উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।
এর পরেই ইডির হাতে গ্রেফতার হন আমির ঘনিষ্ঠ রুমেন আগরওয়াল। তাঁর বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় নগদ ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা এবং ৪৪.৫টি বিটকয়েন (সেই সময় ভারতীয় মুদ্রায় যার বিনিময়মূল্য ছিল ৭ কোটি ১২ লক্ষ টাকা)। পরে অভিযান চালিয়ে ১৫০.২২ বিটকয়েনও বাজেয়াপ্ত করা হয়। ভারতীয় মুদ্রায় যার বিনিময় মূল্য ২২ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা। এখনও পর্যন্ত এই প্রতারণাকাণ্ডে ৬৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আমির এবং রুমেন ছাড়াও ই-নাগেটসকাণ্ডে বিক্রম সিংহ গান্ধী নামেও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।