Teacher Recruitment Scam case

কলকাতার দু’টি অফিসে তল্লাশিতে ইডি, ‘কালীঘাটের কাকু’র সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হানা

মধ্য কলকাতার দু’টি এলাকায় বুধবার ইডির তল্লাশি অভিযান চলছে। নিয়োগ মামলা সংক্রান্ত তথ্যের সন্ধানেই ইডির আধিকারিকেরা বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছেন বলে খবর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৩ ১৮:১৪
Share:

‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। —ফাইল চিত্র।

কলকাতায় তল্লাশি অভিযানে বেরিয়েছে ইডি। নিয়োগ মামলা সংক্রান্ত তথ্যের সন্ধানেই ইডির আধিকারিকেরা বুধবার শহরের দু’টি এলাকায় হানা দিচ্ছেন বলে খবর। আপার উড স্ট্রিট এবং আনোয়ার শাহ রোডের দু’টি নির্মানকারী সংস্থার অফিসে ইডি আধিকারিকেরা গিয়েছেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নিয়োগ মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইডি তল্লাশি শুরু করেছে। কাকুর সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থার শেয়ার কেনাবেচার আর্থিক যোগসূত্রও মিলেছে বলে ইডি সূত্রে খবর। নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ খুঁজছে তারা।

Advertisement

গত ৩০ মে প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কে গ্রেফতার করে ইডি দাবি করেছিল, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেতুবন্ধনের কাজ করেছিলেন সুজয়। মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল। ২০১৮ সাল থেকে এই দুর্নীতিতে ‘কাকু’ জড়িত বলে দাবি করেছে ইডি। জেলে থাকাকালীন সম্প্রতি সুজয়ের স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সে কারণে বেশ কিছু দিন প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি।

নিয়োগ মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করেছিল বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডলকে। তাঁর মুখেই প্রথম ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা শোনা যায়। নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তে নাম এসেছিল গোপাল দলপতির। তাঁর মুখেও ‘কাকু’র নাম শোনা গিয়েছিল। এর পরেই গোয়েন্দাদের আতশকাচের তলায় আসেন সুজয়।

Advertisement

সিবিআই সুজয়কে দু’বার তলব করেছিল। প্রথম বার সিবিআই দফতরে গিয়ে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরের বার নিজের আইনজীবীকে দিয়ে নথিপত্র পাঠিয়েছিলেন। গত ২০ মে সুজয়ের বেহালার ফকিরপাড়া রোডের ফ্ল্যাট, বাড়ি, অফিস-সহ বহু জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। ওই দিনই নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সুজয় এক সময় অভিষেকের অফিসে কাজ করতেন। ‘কাকু’র সঙ্গে সংযোগ রয়েছে এমন ৩টি সংস্থাতেও তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেই সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হয়েছে। এর পরেই ৩০ মে তলব করা হয় সুজয়কে। সে দিন তিনি গ্রেফতার হন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement