মুখোশ পড়েই চলছে খেলা।—ছবি পিটিআই।
করোনা আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে বেআইনি মজুতদারির আশঙ্কা ছিলই। কিন্তু সাধারণ মাস্কের গায়েও ‘এন-৯৫’ কথাটি লিখে বিকোচ্ছে বাজারে! রবিবার সেই প্রমাণ হাতেনাতে পেয়েছেন কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের (ইবি) অফিসারেরা। তবে যে দোকানে ওই মাস্ক বিকোচ্ছিল তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পুলিশ জানায়, দোকানিদের দাবি প্যাকেটের গায়ে ‘এন-৯৫’ লেখা থাকলেও তাঁরা ওই মাস্ক সাধারণ বলেই বিক্রি করেছেন। তবে প্রতিটি মাস্ক তিরিশ টাকা করে বিক্রির কথা তারা স্বীকার করেছেন। তবে, ইবি-র আধিকারিকদের সামনেই দোকানিরা প্যাকেটের গায়ে লেখা ‘এন-৯৫’ শব্দটি কেটে দিয়েছেন। এ দিন দুপুরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের কাছে কয়েকটি দোকান পরিদর্শনে যায় ইবি।
সূত্রের খবর, পরিদর্শনের সময়ে দেখা যায় বিক্রি হওয়া সাধারণ ‘মাস্ক’ এর প্যাকেটের গায়ে লেখা ‘এন-৯৫’। সেই সঙ্গে কিছু চিনা হরফও লেখা রয়েছে। এর পরেই ওই দোকানদারদের চেপে ধরে পুলিশ। কিন্তু দোকানিরা পুলিশকে জানান, ওই মাস্কগুলি ‘এন-৯৫’ লেখা প্যাকেটে ভর্তি হয়েই এসেছে। এমনকি দোকানিরা ওই সব মাস্ক ‘এন-৯৫’ দাবি করে ক্রেতাদের ঠকাননি বলেও জানান। পুলিশের ধমক খেয়েই দোকানিরা প্যাকেটের উপরে লেখা ‘এন-৯৫’ কথাটি কেটে দেন।
সাধারণ মাস্ক কেন ত্রিশ টাকা পিস হিসেবে বিকোচ্ছে, এই প্রশ্নও পুলিশ আধিকারিকেরা করেছিলেন। দোকানিরা উত্তরে পুলিশকে জানান, তাঁরা পাইকারি বাজারে প্রতিটি মাস্ক ২৫ টাকায় কিনেছেন। তার উপরে ৫ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করছেন।
লালবাজার জানাচ্ছে, ইবি-র হানাদারির পাশাপাশি প্রতিটি থানা এলাকায় করোনা নিয়ে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। পুলিশকর্মীদের অনেকে জানিয়েছেন, তাঁরা নাগরিকদের সচেতন করছেন ঠিকই। কিন্তু নিজেদের অনেকেরই সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। এ নিয়ে আক্ষেপ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন কোনও কোনও পুলিশকর্মী।