ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো।—ফাইল চিত্র।
চিনের হুনান প্রদেশ থেকে ‘প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন গেট’ এসে পৌঁছল শহরে।
শনিবার গভীর রাতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সেন্ট্রাল পার্ক এবং করুণাময়ী স্টেশনে ওই গেট আসে। মেট্রো সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ওই গেট বসানোর প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সেক্টর ৫ এবং সিটি সেন্টার স্টেশনেও গেটও পৌঁছবে বলে কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল) সূত্রে খবর। ২০১৭ সালের অগস্টে প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন গেট সরবরাহ করা নিয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মাণ সংস্থা কেএমআরসিএল-এর সঙ্গে চিনের দু’টি সংস্থার চুক্তি হয়। আগামী নভেম্বর থেকে ওই গেট সরবরাহ করার কথা থাকলেও কয়েক মাস আগেই তা চলে এসেছে। কেএমআরসিএল-এর অধিকর্তা অনুপকুমার কুণ্ডু বলেন, “দেশের মধ্যে এখানেই প্রথম প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন গেট ব্যবহার করা হবে।”
এ দিন ৩টি কন্টেনার-ট্রাকে করে ওই গেট দু’টি স্টেশনে আনা হয়। মেট্রোকর্তারা জানান, প্ল্যাটফর্মে ট্রেন এসে দাঁড়ালে তবেই খুলবে এই স্ক্রিন গেট। তাঁদের দাবি, এর ফলে মেট্রোয় দুর্ঘটনা কমবে। লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকানো যাবে। মাটির উপরের স্টেশনগুলি বাতানুকূল না হওয়ায় সেখানে গেটের উচ্চতা কিছুটা কম হবে। তা মেট্রো স্টেশনের ছাদ পর্যন্ত পৌঁছবে না। বাতাস চলাচলের জন্য উপরের কিছুটা অংশ ফাঁকা থাকবে। তবে মাটির নীচের সব স্টেশনেই ওই স্বচ্ছ গেট বা দরজা ছাদ পর্যন্ত হবে। এতে প্ল্যাটফর্মে বাতানুকূল ব্যবস্থা চালু রাখার বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই কমবে। পাশাপাশি, মেট্রো চলাচল সংক্রান্ত ঘোষণা শুনতেও সুবিধে হবে যাত্রীদের।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোকর্তাদের দাবি, এক-একটি স্টেশনে এক দিকের প্ল্যাটফর্মে ২৪টি করে স্বয়ংক্রিয় স্ক্রিন গেট থাকবে। আপাতত দু’টি স্টেশনে বসানোর মতো গেট এসেছে। মেট্রো সূত্রের খবর, ওই গেটগুলি মেট্রোর কামরার গেটের তুলনায় কিছুটা বড়। মেট্রোর কামরার দরজা ১.৪ মিটার চওড়া, তাই স্ক্রিন গেট দু’মিটার চওড়া করা হচ্ছে। মেট্রো কর্তাদের বক্তব্য, যাত্রীদের ওঠা-নামায় যাতে সমস্যা না হয়, তাই এই ব্যবস্থা। প্ল্যাটফর্মে ট্রেন এলে যাত্রীদের ওঠা-নামার বিষয়টি কেবিনে বসে সিসি ক্যামেরায় দেখতে পাবেন চালক। যাত্রী ওঠা-নামা শেষ হলে, তবেই গেট বন্ধ হবে।