ফাইল চিত্র।
রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে আগামী ১৬ নভেম্বর। পড়ুয়াদের কী ভাবে আনা হবে, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় ভাবে বৈঠক করে সেই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়ে দিয়েছেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কোনও বৈঠক হয়নি বলেই জানালেন পড়ুয়ারা। পুরো বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলির উপরে।
পড়ুয়াদের বক্তব্য, ক্যাম্পাস খুললে কী করা হবে, তা জানিয়েছে কিছু কিছু বিভাগ। কিন্তু সব বিভাগের ক্ষেত্রে ছবিটা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রেসিডেন্সির ইতিহাস বিভাগের ছাত্র দেবনীল পাল শুক্রবার জানান, তাঁর বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, টিউটোরিয়াল এবং সেশনালের জন্য গ্রুপ করে আসতে হবে। নিয়মিত অফলাইন ক্লাস হবে কি না, তা প্রথম সপ্তাহের পরে ঠিক করা হবে। প্র্যাক্টিক্যাল-নির্ভর বিষয়গুলির ক্ষেত্রে গ্রুপ করে পড়ুয়াদের আনা হচ্ছে।
এখনই হস্টেল খোলার কথা জানাননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়াদের বক্তব্য, অনেক বিভাগই সপ্তাহে এক দিন বা দু’দিন পড়ুয়াদের আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে ক্ষেত্রে যে পড়ুয়ারা দূরে থাকেন, হস্টেল না খুললে তাঁরা চূড়ান্ত সমস্যায় পড়বেন। প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংগঠন ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনসলিডেশন’ (আইসি)-এর সদস্য এবং অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র অহন কর্মকার বলেন, ‘‘হস্টেল না খুললে দূরের ছাত্রছাত্রীরা কলকাতায় এসে থাকবেন কোথায়?’’
সূত্রের খবর, কর্তৃপক্ষ চাইছেন আগে ক্যাম্পাস খুলুক। পরিস্থিতি দেখে হস্টেল খোলার কথা ভাবা হবে। তবে অতিমারি পরিস্থিতিতে কিছু শিক্ষকের ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস নেওয়ায় অনীহা রয়েছে বলে খবর।