পুজোর আমেজ শুরু স্কুলে স্কুলে। ছবি: সংগৃহীত।
অতিমারির দু’বছর ঘরবন্দি হয়েই থাকতে হয়েছে ওদের। পুজোর আনন্দ সে ভাবে করতেই পারেনি স্কুলপড়ুয়ারা। তবে এ বছরে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ায় ফিরেছে শারদোৎসবের চেনা ছন্দ। তাই পুজোয় আনন্দে মেতেছে পড়ুয়ারাও। শহরের বিভিন্ন স্কুলগুলি জানাচ্ছে, এ বার পুজো ঘিরে পড়ুয়াদের উৎসাহ খুব বেশি। তাই পুজোর ছুটি পড়ার আগেই পুজোর আমেজ শুরু স্কুলে স্কুলে।
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য জানাচ্ছেন, দু’বছর করোনার কারণে স্কুলের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়নি। এ বার, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মধুসূদন মঞ্চে সেই অনুষ্ঠান হবে। সেই সঙ্গে থাকবে পড়ুয়াদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। আবৃত্তি আলেখ্য, নৃত্যনাট্য পরিবেশন করবে পড়ুয়ারা, পুরোদমে এখন চলছে তারই প্রস্তুতি। পার্থপ্রতিম বলেন, ‘‘আমাদের পড়ুয়ারা ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত দু’বছর এই শারোদৎসব হয়নি বলে এ বারে উৎসাহ অনেকটাই বেশি।’’
পুজোর আবহের মধ্যেই সরস্বতী বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানও হচ্ছে ২৮ সেপ্টেম্বর, গিরিশ মঞ্চে। সেই সঙ্গে প্রাক্পুজো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে বলে জানালেন প্রধান শিক্ষিকা জয়তী মজুমদার মিত্র।
দু’বছর বন্ধ থাকার পরে সাউথ পয়েন্ট স্কুলে এ বার ফিরছে পুজো সম্মান। সাউথ পয়েন্টের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণ দামানি বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলের পড়ুয়ারা বিচারক হয়ে কয়েকটি পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখে সেরা নির্বাচন করবে। সেরা প্রতিমা, সেরা মণ্ডপ এবং সেরা পুজো পরিবেশ— এই তিন বিষয়ে পুরস্কার দেবে পড়ুয়ারা। কিন্তু কী ভাবে তারা বিচার করবে, তা তো পড়ুয়ারা জানে না। তাই তার উপরে একটি কর্মশালাও হচ্ছে।’’ তিনি জানান, পুজোর সেরা বিচারে বিচারকের ভূমিকায় থাকবে এম পি বিড়লা স্কুলের পড়ুয়ারাও। এ জন্য পঞ্চমীতে নবম ও একাদশ শ্রেণির ৩২ জন পড়ুয়া বেরোবে শহরের পুজোমণ্ডপ পরিদর্শনে।
আজ, সোমবার পুজো নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান করছে ডিপিএস রুবি পার্কও। যে অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন শহরের একটি বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকেরাও। সেখানে পড়ুয়ারা পরিবেশন করবে নৃত্যনাট্য ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। সঙ্গে ধুনুচি নাচ, ঢাকের বাদ্যি।