ফাইল চিত্র।
পুজোর সময়ে নৈশ কার্ফু শিথিল করা হলেও এ বার সারা রাত বাস চলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বড়জোর মাঝরাত পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি বাস মিলতে পারে বলে খবর। অন্যান্য বার পুজোর তিন দিন যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে রাজ্য পরিবহণ নিগম রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে বিশেষ নৈশ পরিষেবার ব্যবস্থা করে। রাতেও পরিষেবা সচল রাখার জন্য পৃথক পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এ বার তেমন কোনও প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। তবে, সান্ধ্য পরিষেবার মেয়াদ কয়েক ঘণ্টা বাড়তে পারে বলে সূত্রের খবর। রাত ১১টার বদলে তা মাঝরাত পর্যন্ত গড়াতে পারে।
করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এ বার পুজো পরিক্রমার কোনও আয়োজনও করছে না সরকারি পরিবহণ নিগমগুলি। বেসরকারি বাসমালিক সংগঠন সূত্রের খবর, অন্যান্য বার রাতে বাস চালানোর জন্য কলকাতা পুলিশের সঙ্গে পৃথক বৈঠক হয়। এ বারে তা হয়নি। আগে যাত্রীদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে বহু রুটেই রদবদল করে বাস চালাতে হত। সে জন্য প্রশাসনের সঙ্গে বিশেষ সমন্বয় রক্ষা করে চলা হত। কোথাও যাত্রীদের ভিড় থাকলে পুলিশও তা আগাম জানিয়ে দিত। সেই অনুযায়ী রুট কেটেছেঁটে বেসরকারি বাস-মিনিবাস চালানো হত বলে খবর।
এ বার অবশ্য বাস চালানো নিয়ে সরাসরি প্রশাসনিক কড়াকড়ি না থাকায় ব্যস্ত রুটগুলিতে রাতের দিকে পরিষেবা আংশিক সচল থাকতে পারে। ‘বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু শুক্রবার বললেন, ‘‘পুলিশকে মৌখিক ভাবে পরিস্থিতির কথা জানিয়েছি। যে সব রুটে যাত্রীদের আনাগোনা থাকবে, সেখানে কিছু বাস চলবে।’’ ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর টিটু সাহা বললেন, ‘‘ডিজ়েলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে রাতে বাস চালানোর ঝুঁকি অনেকেই নিতে পারছেন না। তবে, বড় পুজো যেখানে রয়েছে, সেই এলাকা লাগোয়া রুটে কিছু বাস চলতে পারে।’’ ‘মিনিবাস অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক স্বপন ঘোষ বলেন, ‘‘কয়েকটি রুটে যাত্রী থাকলে বাস চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’’