প্রতীকী ছবি।
মণ্ডপে ভিড় কম? এ বার বিচারকের হিসেবে পুরস্কৃত হতে পারে তারাই। অনলাইন, ফেসবুক লাইভ বা কেব্ল টিভির মাধ্যমে কোন কোন উদ্যোক্তা পুজো দেখার ব্যবস্থা করেছেন? তাঁরাই পেতে পারেন সেরা পুজোর পুরস্কার। কিংবা যে সব মণ্ডপে করোনা সচেতনতায় প্রচার চলবে, তারাও পেতে পারে পুরস্কার।
এমনই অভিনব পুরস্কার দেওয়া হবে শ্যামপুকুর বিধানসভা এলাকার দুর্গাপুজোয়। যার উদ্যোক্তা স্থানীয় বিধায়ক শশী পাঁজা। ওই বিধানসভা এলাকায় বেশ কয়েকটি দুর্গাপুজো হয়। যার কয়েকটি বড় পুজো বলেও পরিচিত। তেমনই একটি পুজোর কর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। মণ্ডপে যাতে ভিড় কম হয়, তাই বিভিন্ন চ্যানেলে আমাদের পুজো দেখানোর ব্যবস্থা করেছি। মণ্ডপে করোনা সচেতনতায় বার্তা থাকবে।’’ অন্য এক পুজোর উদ্যোক্তা সুবল পাল বলেন, ‘‘ভিড় ঠেকাতে রাস্তাতেই বড় পর্দার এলইডি টিভি বসাচ্ছি। যাতে সেখান থেকেই দর্শনার্থীরা টিভিতে মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখে নিতে পারেন। ফেসবুক লাইভেও পুজো দেখানোর ব্যবস্থা থাকবে।’’
শশী পাঁজা বলেন, ‘‘কোন পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি, সেই বিচার করেই প্রতি বছর পুরস্কার দেওয়া হয়। অতিমারির এই বছরে পুরস্কার দেওয়ার শর্তই পাল্টে দিতে হয়েছে।’’ তিনি জানান, কোন মণ্ডপ ভিড় না করিয়ে অঞ্জলি দেওয়ানোর ব্যবস্থা করছে, তার উপরেও থাকবে পুরস্কার। এমনকি, যিনি বা যাঁর পরিবার স্বাস্থ্য-বিধি যথাযথ ভাবে মেনে ওই বিধানসভা এলাকার মণ্ডপে ঘুরবেন, তাঁরাও পুরস্কৃত হবেন।