ফাইল চিত্র।
পুজো শুরুর আগেই করোনা প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় দেওয়ার কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে দমদমের তিন পুর প্রশাসন। কিন্তু তৃতীয়ার রাত থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত পুজোমণ্ডপে উপচে পড়া ভিড়ে মাস্কহীন মুখ চিন্তা বাড়াচ্ছে পুর প্রশাসনের। ভিড়ের চাপে দূরত্ব-বিধি হারানোর পাশাপাশি মাস্ককে ব্রাত্য করার এই প্রবণতাই চিন্তায় রেখেছে পুরসভাগুলিকে।
দমদম এলাকায় এখনও দৈনিক দু’-চার জন সংক্রমিত হচ্ছেন। তবু হঠাৎ করেই সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক পরায় অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পুজোমণ্ডপে আগত দর্শনার্থীরাই শুধু নন, উৎসবের মরসুমে এলাকার দোকান-বাজারে, পাড়ার অলিগলিতে মাস্কের ব্যবহার যেন হঠাৎই অনেকটা কমে এসেছে। নাগেরবাজার মোড়ে মাস্কহীন এক ব্যক্তিকে প্রশ্ন করতে তাঁর সাফ জবাব, ‘‘মাস্ক সব সময়ে পরে থাকলে দমবন্ধ লাগে। তা ছাড়া প্রতিষেধকের দু’টো ডোজ় তো আছে!’’
একই মনোভাব মণ্ডপে আসা বহু দর্শনার্থীরও। প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ় নেওয়া থাকলে করোনা আর ছোঁবে না— এই যুক্তিই খাড়া করছেন তাঁরা। আর সেটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে পুর প্রশাসকদের। দক্ষিণ দমদম পুরসভার মুখ্য প্রশাসক জানান, পুজোর আগেই প্রথম ডোজ় দেওয়ার কাজ প্রায় শেষের পথে। আর মাত্র ১০-১৫ শতাংশ বাকি রয়েছে, কারণ তাঁরা প্রতিষেধক নিতে আসছেন না। পুজোর পরে শিবির ফের চালু হলে ফের তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানান পুর কর্তৃপক্ষ।
তবে পুজোয় যে ভাবে মানুষ কোভিড-বিধিকে উপেক্ষা করছেন, তা-ও চিন্তায় রেখেছে প্রশাসনকে। পুজো কমিটিগুলিকে করোনা-বিধি পালনে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মণ্ডপ চত্বরে ব্যানার-ফ্লেক্সের মাধ্যমেও সচেতনতার প্রচারে জোর দেওয়া হচ্ছে। পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য বরুণ নট্ট জানান, এর পরেও করোনা-বিধি না মানা হলে কড়া পদক্ষেপ করবে প্রশাসন। তাঁর কথায়, ‘‘অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না, তা নজরে এসেছে। পুজো কমিটিগুলিকেও আরও সতর্ক হওয়ার কথা বলা হয়েছে।’’
উত্তর দমদম পুরসভা এলাকাতেও দৈনিক গড়ে ২-৪ জনের করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসছে। মুখ্য প্রশাসক বিধান বিশ্বাস জানান, পুরসভা এবং পুজো কমিটিগুলির প্রচার সত্ত্বেও সেখানে মাস্ক ব্যবহার না করার প্রবণতা চোখে পড়ছে।