— ছবি সংগৃহীত
দমদম আন্ডারপাসের জল-যন্ত্রণা মেটাতে শুক্রবার বৈঠকে বসেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার কর্তারা। ওই আন্ডারপাসের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয় সেই বৈঠকে। আলোচনায় উঠে আসে পাতিপুকুর আন্ডারপাসের কথাও। ওই পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান জানান, জল জমা ঠেকানোর বিভিন্ন রকম সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এ বিষয়ে রেল ও পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ করা হবে। সেই পদক্ষেপের একটি প্রাথমিক রূপরেখাও তৈরি করা হয়েছে।
এ দিনের বৈঠকে ছিলেন সাংসদ সৌগত রায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বিধায়ক অদিতি মুন্সি, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত, কলকাতা পুরসভার এক নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা, দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর একাধিক সদস্য এবং কেএমডিএ-র প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, বৈঠকে পুর প্রতিনিধিরা জানান, দমদম আন্ডারপাস শুখা মরসুমেও ভেজা থাকে। বৃষ্টির মরসুমে সেখানে আরও বেশি জল জমছে। পুরসভার দাবি, দমদম স্টেশনের উপরিভাগের শৌচাগার এবং প্রস্রাবাগারের জলই নীচে পড়ে।
পাতিপুকুর আন্ডারপাসে জল জমলেও তা এখন কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সরানো সম্ভব হয়। কারণ, কলকাতা পুরসভা সেখানে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি পাম্প আগেই চালু করেছিল। ফলে বর্তমানে সেখানে জল জমলেও দুর্ভোগ দীর্ঘস্থায়ী হয় না। কিন্তু দমদম আন্ডারপাসের ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান হয়নি। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের দাবি। এ দিনের বৈঠকে রেল এবং পূর্ত দফতরের (সড়ক) কর্তাদের ডাকা হলেও তাঁদের তরফে কোনও প্রতিনিধি আসেননি।
প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান জানান, আন্ডারপাসের রাস্তাটি খারাপ হয়ে রয়েছে। কিন্তু জল জমার সমস্যা না-মেটালে রাস্তা মেরামত করলেও ফের তা খারাপ হয়ে যাবে। তাই বৈঠকে তাঁরা প্রস্তাব দেন, আলাদা একটি নিকাশি নালা তৈরি করে স্টেশনের উপরিভাগের নোংরা জল সরাতে হবে। দু’নম্বর ওয়ার্ডে কলকাতা পুরসভার একটি নিকাশি নালায় ওই জল ফেলতে পারলে এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান সম্ভব বলে মনে করছেন পুর কর্তৃপক্ষ। ওই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। তবে পুরসভা সূত্রের দাবি, এ দিনের বৈঠকে প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি হলেও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।