চলতি বছরে দমদম পুর এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমণের তীব্রতা দেখে শুধু কয়েকটি মাসে নয়, বছরভর মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের কাজ করতে চাইছে পুরসভা। প্রতীকী ছবি।
মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে চলতি বছরের অভিজ্ঞতার নিরিখে আগামী বছরের শুরু থেকেই জোর বাড়াতে চলেছে দমদম পুরসভা। তবে সেখানকার কিছু কিছু জায়গা পুরসভার আওতাধীন নয়। সেই সব জায়গা সম্পর্কে সমীক্ষা চালিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে দিতে চলেছে পুর প্রশাসন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সেই কাজ।
দমদমবাসীর একাংশের অভিযোগ, পুরসভা এলাকার মধ্যে মেট্রো প্রকল্পের কাজ চলছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে জেসপ কারখানা। সেখানে জল জমা, মশার উপদ্রব নিয়ে তাঁদের অভিযোগ রয়েছে। বার বার বলেও এই বিষয়ে কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ।
সমস্যার কথা কার্যত স্বীকার করে দমদম পুরসভার এক কর্তাজানান, যে জায়গাগুলি নিয়ে বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেগুলি পুরসভার অধীনস্থ নয়। সেখানে ঢুকে পুরকর্মীরা মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে পারেন না। এই সমস্যার কথা জেলা প্রশাসনের কাছে তাঁরা জানিয়েছেন। এ নিয়ে সমীক্ষার একটি বিস্তারিত রিপোর্টও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে জমাদেওয়া হবে।
চলতি বছরে দমদম পুর এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমণের তীব্রতা দেখে শুধু নির্দিষ্ট কয়েকটি মাসে নয়, বছরভর মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের কাজ করতে চাইছে পুরসভা। তার প্রাথমিক ধাপ হিসেবেহাইড্রেন থেকে শুরু করে নিকাশি নালা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে, যাতে জল কোনও ভাবেই জমতে না পারে। সূত্রের খবর, শীতের মরসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহ, প্রতিটি ওয়ার্ডে মশা নিয়ন্ত্রণে ওষুধ স্প্রে করা, ব্লিচিং ছড়ানোর কাজ শুরু হবে।
পুরসভার চেয়ারম্যান হরিন্দর সিংহ জানান, তাঁদের মূল লক্ষ্য মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই প্রক্রিয়াগত কাজশুরু হয়েছে।
একই ভাবে দক্ষিণ দমদম পুরসভাও জানিয়েছে, নতুন বছরের শুরু থেকেই লাগাতার মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ করবে তারা। কারণ, চলতি বছরে কয়েকশো মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ওই পুর এলাকায়। তিন জনের মৃত্যুও হয়েছে। চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, সাধারণত জুন-জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ হয়। কিন্তু এ বার নতুন বছরের গোড়া থেকেই সেই কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার জেরে পুরসভার ব্যয় কতটা বাড়বে, সেই পর্যালোচনা করা হচ্ছে।