—প্রতীকী চিত্র।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় বেড়েছে জনবসতি। কিন্তু সেই তুলনায় বাড়েনি পরিকাঠামো। তাই এলাকায় উন্নয়ন হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। যার জেরে বর্ষায় জমা জলের যন্ত্রণা অব্যাহত থাকে দমদম পুর এলাকায়। সেই সমস্যার সমাধানে এলাকায় খোলা নর্দমার সংস্কারের পরিকল্পনা করেছে পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, ভূগর্ভস্থ নিকাশি সংক্রান্ত একটি খসড়া প্রস্তাব ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে।
তবে সেই পরিকল্পনা কার্যকর কবে হবে, তার সদুত্তর মেলেনি। ফলে চলতি বছরের বর্ষাতেও জমা জলের যন্ত্রণা থেকে আদৌ মুক্তি পাবেন কি না স্থানীয় বাসিন্দারা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে স্থানীয় স্তরে।
দমদম ক্যান্টনমেন্ট, গোরাবাজার থেকে শুরু করে দমদমের একাধিক ওয়ার্ডে এই সমস্যা রয়েছে। ২২টি ওয়ার্ড নিয়ে দমদম পুর এলাকায় সাবেক কালের নিকাশি পরিকাঠামো রয়েছে। সেখানে রাস্তার পাশে খোলা নর্দমা রয়েছে। অথচ কয়েক লক্ষ মানুষ এই পুর এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দা মিতা বসুর কথায়, ‘‘বাসিন্দা বেড়েছে অনেক। পুরসভা নিয়মিত নর্দমা পরিষ্কার করে। তবে জনসংখ্যার নিরিখে নর্দমার বহনক্ষমতা সীমিত। ফলে জল জমে।’’ পি কে গুহ রোড, রাধানগর, ইটালগাছা, কমলাপুর থেকে শুরু করে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন এলাকার বেশ কিছু অংশে জল জমার সমস্যা রয়েছে। দমদম পুর
এলাকার জল মূলত দমদম ক্যান্টনমেন্ট খাল এবং বাগজোলা খালে গিয়ে মেশে। সেই খাল সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে বলেও দাবি করছেন স্থানীয়দের একাংশ। আবার কারও কারও মতে, বর্তমান পুরবোর্ড কিছু ক্ষেত্রে নিকাশির উন্নয়ন করায় জল জমার যন্ত্রণা কিছুটা লাঘব হলেও তা চাহিদার তুলনায় কম।
সমস্যার কথা কার্যত স্বীকার করে পুর কর্তাদের একাংশ জানান, অপরিকল্পিত ভাবে পুর
এলাকায় জনবসতি গড়ে ওঠায় রাস্তা, নর্দমার পরিসর কমেছে। পুর কর্তাদের দাবি, তাঁরা ক্ষমতায় আসার আগে নিকাশি ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ হয়নি। দায়িত্ব পেয়ে নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে ঠিকই, তবে ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি করা গেলে জমা জলের সমস্যার সমাধান সম্ভব।
দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই নিকাশি পরিকাঠামোর মানোন্নয়নে নতুন নিকাশি নালা থেকে শুরু করে বেশ কিছু কাজ হয়েছে। যে কারণে গত বার জল জমার সমস্যা তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে সার্বিক ভাবে ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থার জন্য যে খসড়া প্রস্তাব রাজ্য প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে, তার দ্রুত রূপায়নে জোর দিচ্ছে পুরসভা।’’