উদ্যোগ: পরিবহণ শ্রমিকদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের শিবির। শনিবার, বিমানবন্দর এলাকায়। নিজস্ব চিত্র
পরিবহণ শ্রমিকদের অভাব অভিযোগ মেটাতে আগেই মদন মিত্রের নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই পরিবহণ শ্রমিকদের অভাব অভিযোগ জানতে গত এক মাসে ওই কমিটির তরফে একাধিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। শনিবার পরিবহণ শ্রমিকদের সরকারি স্বাস্থ্য-সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনতে নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের কাছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির বিশেষ শিবির অনুষ্ঠিত হল।
এ দিনের শিবিরে প্রায় এক হাজার পরিবহণকর্মীকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়া হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। এ দিনের অনুষ্ঠানে মদন মিত্র বলেন, “সামাজিক ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের যে সব প্রকল্প রয়েছে, তার সুবিধা যাতে পরিবহণ শ্রমিকরা প্রত্যেকে পান, সেটাই নিশ্চিত করতে চাই।” অনুষ্ঠানে ছিলেন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’-এর সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ‘বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়। সরকারি এই উদ্যোগ সম্পর্কে এআইটিইউসি-র ট্যাক্সি সংগঠনের নেতা নওলকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, “রাজনৈতিক রং না দেখে সরকারের উচিত সমস্ত পরিবহণ শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনা।”