Mosquito

শোভনের ওয়ার্ড পরিদর্শনে ডেপুটি মেয়র অতীন, ড্রোন দিয়ে ধ্বংস করা হল মশার আঁতুর

বেহালা পর্ণশ্রীতে মশার প্রকোপ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ পেয়ে এ দিন ঘটনাস্থলে যান অতীন। এয়ারপোর্ট লাগোয়া একটি পরিত্যক্ত জমিতে ড্রোন উড়িয়ে মশার আঁতুরঘরের খোঁজ চলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:২২
Share:

অতীন ঘোষ ও রত্না রত্না চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিলেও শোভন চট্টোপাধ্যায় এখনও কলকাতা পুরসভার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কাউন্সিলর এলাকার খোঁজ নেন না। তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে যে ক্ষোভ রয়েছে, মঙ্গলবার ওই এলাকায় গিয়ে তার আঁচ পেলেন পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।

Advertisement

বেহালা পর্ণশ্রীতে মশার প্রকোপ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ পেয়ে এ দিন ঘটনাস্থলে যান অতীন। এয়ারপোর্ট লাগোয়া একটি পরিত্যক্ত জমিতে ড্রোন উড়িয়ে মশার আঁতুরঘরের খোঁজ চলে। পরে ‘বিনাশ’ নামে ওই ড্রোন দিয়েই সেখানে রাসায়নিক প্রয়োগ করে মশার আঁতুর ধ্বংস করা হয়।

অতীন বলেন, “কলকাতার যে ১২টি ওয়ার্ডে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ সব থেকে বেশি, তার মধ্যে ১৩১ নম্বর অন্যতম। এখানকার অনেক জমির ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে পুরকর্মীরা সেখানে পৌঁছতে পারেন না। সেগুলি চিহ্নিত করা হচ্ছে।’’

Advertisement

ড্রোন উড়িয়ে মশার ‘বিনাশ’। নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুন: রাজ্যসভা-বিধানসভায় ধনখড়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে তৃণমূল, স্পিকারকে কড়া চিঠি রাজ্যপালের

পুর পরিষেবা প্রসঙ্গে ডেপুটি মেয়র বলেন, “আমি কারও নাম করতে চাই না। কিন্তু এটা তো ঠিক যে ওয়ার্ডে না থাকলে, অন্য জনের উপস্থিতিতে সেই সব কাজ করা সম্ভব নয়। যিনি যে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, তিনিই স্থানীয় প্রশাসনকে পরিচালিত করেন। তিনি যদি না থাকেন, তা হলে কাকে অভাব-অভিযোগ জানাবেন এখানকার বাসিন্দারা? পুরসভার প্রতিটি দফতরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করার দায়িত্বও তাঁরই।”

আরও পড়ুন: দৈনিক চার হাজার টাকা ফ্ল্যাট ভাড়া দিত রোমানীয় প্রতারক, থাকতেন রাজার হালে!

একই সুর শোনা গেল প্রাক্তন মেয়রের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও। এ দিন অতীন ঘোষের সঙ্গেই ছিলেন পর্ণশ্রী এলাকার তৃণমূল নেত্রী রত্না। তিনি বলেন, “এই এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। আমার যত দূর মনে পড়ছে, দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে এখানকার কাউন্সিলরের পাত্তা নেই। মানুষ কার কাছে অভাব অভিযোগ জানাবেন? পুর পরিষেবা পাচ্ছেন না মানুষ। এ নিয়ে ক্ষোভও রয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement