প্রতীকী ছবি
করোনা যখন উঁচিয়ে খেলছে, তখন মাঠে নামার অপেক্ষায় ডেঙ্গি।
পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে আশঙ্কা করে আগে থেকেই সতর্ক হচ্ছে বিধাননগর পুরসভা। বৃষ্টির জল কোথায় জমছে, কোথায় আবর্জনা জমে রয়েছে, ডেঙ্গির মরসুম শুরু হলে কোথায় মশার আঁতুড়ঘর তৈরি হতে পারে, এখন থেকেই সে সব দিকে নজরদারি করা শুরু করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার তাই ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলল সল্টলেকে।
তালাবন্ধ বাড়ি, বছরের পর বছর কেউ থাকেন না কিংবা পরিবারের সদস্যেরা বিদেশে থাকেন, সে সব বাড়ি নিয়ে বরাবরই চিন্তায় থাকে বিধাননগর পুরসভা। বাসিন্দাদেরও একাংশের অভিযোগ, সল্টলেকে বিভিন্ন ব্লকে বহু বাড়ি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। সেই সব বাড়ির চত্বর এবং ছাদে জল জমে থাকলেও সে দিকে নজর পড়ে না। জমা জল সরানোও হয় না।
এ দিন বিধাননগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ড্রোন উড়েছে। ওই ওয়ার্ডটি সল্টলেকে। সেটির কাউন্সিলর বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। ওই ওয়ার্ডের কয়েকটি ব্লকের বিভিন্ন বন্ধ বাড়ির উপর দিয়ে এ দিন ড্রোন উড়িয়ে ছবি তোলা হয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষ জানান, ওই সব ছবি খতিয়ে দেখে বোঝা যাবে, কোন জায়গা কী অবস্থায় রয়েছে। তার পরে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে সল্টলেক-সহ বিধাননগর পুর এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ যথেষ্টই ছিল। ডেঙ্গিতে সেখানে কয়েক জনের মৃত্যুও হয়। এই বছর এমনিতেই সব জায়গার মতো করোনা মোকাবিলায় ব্যস্ত বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষও। ফলে এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি যাতে কোনও ভাবে লাগামহীন না হতে পারে, তার প্রস্তুতি শুরু করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
মেয়র জানান, বেশ কিছু বাড়ি বন্ধ। সেগুলির মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। কিন্তু অনেক বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগই করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘‘বাসিন্দারা বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখলে ডেঙ্গি মোকাবিলার কাজ অনেকটাই হয়। কিন্তু বন্ধ বাড়ির ভিতরে সাফাই নিয়ে সমস্যা হচ্ছে।’’