দখল: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রোডের উপরে সার দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে ৪১ ও ৪১/বি রুটের বাস। বুধবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী
রাস্তা আগেই গিয়েছিল, এ বার স্কুলের গেটও চলে যাচ্ছে বাসস্ট্যান্ডের দখলে। এই অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। কাঁটা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল একটি বাসে। পুলিশের এই ভূমিকার প্রতিবাদে বুধবার রাস্তা অবরোধ করলেন ৪১ এবং ৪১/বি রুটের বাসের চালকেরা। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টার এই অবরোধে কার্যত বন্ধ হয়ে গেল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (এন এস সি বসু) রোডের একাংশ। কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পথে তীব্র সমস্যায় পড়লেন নিত্যযাত্রীরা। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুললেও বাসস্ট্যান্ড নিয়ে জটিলতা কাটেনি এ দিন রাত পর্যন্তও।
স্থানীয় সূত্রের খবর, নেতাজিনগর পেট্রল পাম্পের কাছে এন এস সি বসু রোডের উপরে রাস্তার এক দিকে সার দিয়ে দাঁড় করানো থাকে ৪১ এবং ৪১/বি — এই দু’টি রুটের একাধিক বাস। স্থানীয় একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল বর্তমানে বন্ধ থাকায় স্কুলের গেটের সামনেও বাস রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি এ নিয়ে স্থানীয় রিজেন্ট পার্ক থানাতেও অভিযোগ জমা পড়ে। এর পরেই মঙ্গলবার রাতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেআইনি পার্কিং বন্ধে সচেষ্ট হয় পুলিশ। রিজেন্ট পার্ক ট্র্যাফিক গার্ডের তরফে সেখানে দাঁড় করানো একটি বাসের চাকায় কাঁটা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই কাঁটা লাগানোর প্রতিবাদেই এ দিন সকালে রাস্তা অবরোধ করেন বাস মালিকেরা।
সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলা এই অবরোধে যানজট দেখা যায় দক্ষিণ কলকাতার ওই অংশে। বাসচালকেরা দাবি করেন, লায়েলকা থেকে ৪১ এবং ৪১/বি রুটের দু’টি বাসই যায় হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত। মোট ৩৩টি বাসের কয়েকটি থাকে লায়েলকায়। বাকিগুলি রাখা হয় এন এস সি বসু রোডে ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনের রাস্তায়। বাসমালিক সংগঠনের তরফে সোমনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘বাসগুলি বহু দিন থেকে এই এলাকায় রয়েছে। সম্প্রতি একটি রেস্তরাঁ তৈরি হওয়ায় বাসগুলিকে আগের জায়গা থেকে কিছুটা সরিয়ে নিতে হয়েছে। রাতে বাস রাখার জন্য পার্কিং ফি-ও দিতে হচ্ছে আমাদের। ফি দেওয়ার সেই কাগজও রয়েছে আমাদের কাছে। তার পরেও পুলিশ কেন এ ভাবে বাসের চাকায় কাঁটা লাগাবে?’’ স্কুলের গেট আটকে বাস রাখার অভিযোগ প্রসঙ্গে সোমনাথবাবুর দাবি, ‘‘স্কুল বন্ধ, তাই হয়তো কেউ কেউ সেখানে বাস রেখেছেন। তার মানে বরাবর সেখানে বাস রাখা হবে, এমন ব্যাপার নেই।’’
রিজেন্ট পার্ক থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘কারা ওই এলাকায় পার্কিং ফি সংগ্রহ করে সেটা দেখা হচ্ছে। পার্কিং সংক্রান্ত কাগজপত্র চেয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ, কোথাও বেআইনি পার্কিং করতে দেওয়া যাবে না। সেই নির্দেশ মতোই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’