ছবি: সংগৃহীত
বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠুক শৈশব থেকেই। সেই লক্ষ্যে রবিবার পাটুলির দেড়শো শিশুর হাতে তুলে দেওয়া হল বই। ব্যক্তিগত এই উদ্যোগ এগিয়ে নিয়ে যেতে পাশে দাঁড়িয়েছিল কিছু সংস্থা এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর।
বেশ কিছু দিন হল পাটুলিতে তৈরি হয়েছে একটি ‘স্ট্রিট লাইব্রেরি’। কেমন সেই পাঠাগার? রাস্তার ধারে অচল ফ্রিজে বই রেখে পাঠাগার শুরু। যোগ হয়েছে আরও একটি অচল ফ্রিজ। পাশের দোকানেও জায়গা পেয়েছে বই। স্কুলপড়ুয়া ছেলের ইচ্ছেতেই স্থানীয় বাসিন্দা কালীদাস হালদার এবং তাঁর স্ত্রী কুমকুম হালদার এই পাঠগার গড়েছেন। এ দিন অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা কালীদাসবাবু এবং তাঁর স্ত্রী। পাটুলির সত্যজিৎ রায় পার্কের পাশেই অনুষ্ঠাটি হয়। বই বিতরণে কোনও খুদে পেল ক্ষীরের পুতুল, কেউ বা গুপি গাইন বাঘা বাইন। কেউ খুশি মনে ফিরেছে ঠাকুরমার ঝুলি নিয়ে। কেউ খুশি আবোল তাবোল বা ছোটদের শার্লক হোমস পেয়ে। বই প্রাপ্তির সঙ্গে ছিল জলযোগের ব্যবস্থাও।
এ কাজে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর অরূপ চক্রবর্তী। পাশে থেকেছে এলাকার ছোট-বড় কয়েকটি সংগঠন। এ দিনের অনুষ্ঠানে আসা শিশুরা
মূলত পার্শ্ববর্তী কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন ও নিউ গড়িয়া রেলস্টেশন সংলগ্ন বস্তির বাসিন্দা। যাদের অনেকেই পাটুলির মহাশ্বেতা দেবী পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের থেকে পড়ুয়াদের নামের তালিকা চেয়ে নেন উদ্যোক্তারা। অরূপ বলেন, “এমনিতেই মোবাইল, টিভির দৌলতে হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব। নষ্ট হচ্ছে বই পড়ার অভ্যাস। তার উপরে লকডাউনের বিরাট প্রভাব পড়ছে শৈশবে। এমন পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের বই পড়ার অভ্যাস ফিরিয়ে দিতে এই প্রচেষ্টা।”
আর কালীদাসবাবু জানাচ্ছেন, তাঁদের পথের পাঠাগার চালুর পরে তিনি খেয়াল করেন, আশপাশের আবাসন থেকেই এসে বই নিয়ে যান অনেকে। কিন্তু প্রান্তিক
শিশুদের বই নেওয়ায় কুণ্ঠা রয়েছে। এর পরেই বই বিতরণের ভাবনা। যাতে শিশুদের কুণ্ঠা ভাঙে। তিনি জানান, সামনেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন। বই বিতরণ তখন আবার হবে। সেই অনুষ্ঠানে আরও বেশি শিশুদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা থাকবে।