এনআরএস থেকে চিকিৎসকদের মিছিল। ছবি: সুদীপ্তা চৌধুরী সরকার।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের বিচারের দাবিতে পথে নামলেন চিকিৎসকেরা। রবিবার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ থেকে ওই ‘মহামিছিল’ যাচ্ছে ধর্মতলার উদ্দেশে। মিছিলে রয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। দাবি একটাই, দ্রুত বিচারের। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার আরজি করের ঘটনার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ (আমরা বিচার চাই) লেখা কালো বেলুন উড়িয়ে ধর্মতলার দিকে যেতে যেতে আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘‘একটাই দাবি আমাদের। বিচার চাই। এ বার সুপ্রিম কোর্টের পরীক্ষা। আমরা আশাহত হয়ে আছি, আমাদের আশা পূরণ করতে পারে শীর্ষ আদালতই।’’
আরজি করের চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার এক মাস হতে চলেছে। ৯ অগস্টের ওই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে এখনও দিশা দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
‘আরজি করের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না’, দাবি উঠল মিছিল থেকে। ছবি: সুদীপ্তা চৌধুরী সরকার।
গত ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি ছিল। যদিও প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের অসুস্থতার জন্য শুনানির দিন পিছিয়ে যায়।
এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ থেকে মিছিল যাচ্ছে ধর্মতলার উদ্দেশে। ছবি: পিটিআই
এর মধ্যে ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস্ ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর তরফে বিচারের দাবিতে ৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩টে নাগাদ এনআরএসের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। সিনিয়র চিকিৎসকেরা রাজ্যের সমস্ত স্তরের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের ওই মিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়াও স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী, বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যেরা বিচারের দাবিতে পৃথক পৃথক মিছিল নিয়ে মহানগরের রাজপথে নামছেন রবিবার। গড়িয়াহাট থেকে দক্ষিণ কলকাতার পঞ্চাশটির বেশি স্কুলের প্রাক্তনী এবং বর্তমান পড়ুয়ারা মিছিলে পা মেলান।
ধর্মতলার পথে। ছবি: সুদীপ্তা চৌধুরী সরকার।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে লালবাজার অভিযান করেন চিকিৎসকেরা। সেই মিছিল বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের কাছে ব্যারিকেড করে রুখে দেয় পুলিশ। জুনিয়র চিকিৎসকেরা সেখানেই রাতভর অবস্থান করেন। পরের দিন কলকাতার পুলিশ কমিশনার তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। গোয়েলের হাতে পদত্যাগের আর্জিপত্র তুলে দেন চিকিৎসকেরা।