প্রতীকী ছবি।
ইটভাটায় কাজ করতেন বাবা-মা। তাঁদের মৃত্যুর পরে সেখানে কাজ নিতে বাধ্য হয়েছিল বছর তেরোর এক নাবালিকা। ওড়িশার সেই ইটভাটা থেকেই কিশোরীকে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল কলকাতায়। তাকে বিক্রি করা হয় সোনাগাছিতে। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৬ সালের গোড়ায়। ওই বছরের মে মাসে সেই কিশোরীকে উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের মানবপাচার রোধ শাখা। গ্রেফতার করা হয় এক দম্পতি ও এক নাবালিকাকে। অভিযোগ, ওই দম্পতিই মেয়েটিকে যৌন ব্যবসায় নামায়।
সেই মামলায় ওই কিশোরীকে সর্বাধিক ৯ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি (কলকাতা)। বর্তমানে একটি হোমে থেকে পড়াশোনা করছে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সংস্থার আইনজীবী জোয়ানা শিরিন সরকার শুক্রবার জানান, মেয়েটিকে যখন পাচার করা হয়, তখন তার বয়স ছিল ১৩। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ চার্জশিটে পকসো আইনের ধারা দেয়নি। পরে তাঁরা মামলাটি হাতে নিয়ে পুলিশকে ওই ধারা যোগ করতে অনুরোধ করেন।
শিরিন জানান, এর পরেই তাঁরা ক্ষতিপূরণের আবেদন করেন। তবে তার আগে ২০১৮ সালে হাইকোর্ট জানিয়েছিল, কোনও নাবালিকা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি যদি অপরাধের শিকার হয়, তাকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেই রায়কে হাতিয়ার করেই ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে ক্ষতিপূরণের আবেদন জানানো হয়। একই সঙ্গে ১৪ বছরের কম বয়সি কোনও নাবালিকা এ ধরনের অপরাধের শিকার হলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ যাতে বাড়ানো যায়, সেই আর্জিও জানানো হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি বৃহস্পতিবার ৯ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়।