Kolkata Doctor’s Rape-Muder

‘কাজে যোগ দিন’, আরজি করের অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আন্দোলকারীদের বার্তা স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তার

বুধবার সকালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আসেন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা। দেখা করেন মেডিক্যাল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ সুহৃতা পালের সঙ্গে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৪ ১৪:১২
Share:

চিকিৎসকদের বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।

আরজি কর চত্বরে চলছে চিকিৎসকদের ধর্না। আন্দোলনকারীদের দাবি, ‘নিহত চিকিৎসকের বিচার চাই’। পাশাপাশি নিরাপত্তা সুনিশ্চিতের দাবিও জানাচ্ছেন তাঁরা। বুধবার আরজি করে যান রাজ্যের নবনিযুক্ত স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েক। আরজি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসে আন্দোলকারীদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধও জানান তিনি।

Advertisement

বুধবার সকালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আসেন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা। সেখানে গিয়ে দেখা করেন মেডিক্যাল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ সুহৃতা পালের সঙ্গে। আরজি কর থেকে বেরোনোর সময় কৌস্তভ বলেন, ‘‘আন্দোলনকারীদের অনেক দাবি মানা হচ্ছে। কাজে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার জায়গা খোলা আছে।’’ পাশাপাশি এ-ও জানান, সব বিষয় নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল আরজি কর। আন্দোলনে জুনিয়র চিকিৎসকেরা। নিহতের সুবিচারের দাবিতে চলছে বিক্ষোভ। এ ছাড়াও একাধিক দাবি রয়েছে আন্দোলনকারীদের। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সুপার এবং অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি তোলেন তাঁরা। স্বাস্থ্য দফতর প্রথমে সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠ এবং পরে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সরিয়ে দেয়। সঞ্জয়ের জায়গায় আরজি করের নতুন সুপার করা হয় বুলবুল মুখোপাধ্যায়কে। আর সন্দীপকে সরিয়ে আনা হয় সুহৃতাকে। পাশাপাশি, মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্ট এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেয়। রাতেই তদন্তভার নেয় সিবিআই। তবে এখনও আরজি করের চিকিৎসকেরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, ‘বিচার চাই, দোষীদের শাস্তি চাই’। একই সঙ্গে হাসপাতালে তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিতের দাবিতেও অনড় তাঁরা।

Advertisement

উল্লেখ্য, বুধবার সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে বিক্ষোভ কর্মসূচি করছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। কিছু সিনিয়র চিকিৎসকও এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসকেরা কর্মবিরতির ডাকও দিয়েছেন। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বহির্বিভাগ-সহ অন্যান্য বিভাগে এই কর্মবিরতির প্রভাব পড়েছে। কর্মবিরতির জেরে ভোগান্তির শিকার চিকিৎসাপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার শুনানির সময় কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাছে আবেদনও করেছিলেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘‘আন্দোলনরত চিকিৎসকদের আবেগকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, তাঁদের এক সহকর্মীকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা আর জি করের চিকিৎসক এবং পড়ুয়াদের পরিস্থিতি বুঝতে পারছি। যদিও রোগীদের চিকিৎসা করাও তাঁদের দায়িত্ব। চিকিৎসা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্তদের আমরা অনুরোধ করছি, সরকারের সঙ্গে কথা বলে হাসপাতালে আসা দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা শুরু করতে। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে রাজ্যেরও কথা বলা উচিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement