Rap song

Differently Abled: লকডাউন নিয়ে র‌্যাপ দু’দেশের বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের

লকডাউনে সব যখন বন্ধ, কলকাতার মনোবিকাশ কেন্দ্রের ছয় পড়ুয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিল্পীরা মিলে লিখে ফেলেছিলেন একটি র‌্যাপ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৫২
Share:

প্রতীকী ছবি।

‘লকডাউনে বন্ধ বিদ্যালয়, মনখারাপের পারদ চড়ে হিমালয়’— নিজেদের তৈরি র‌্যাপের ভিডিয়ো দেখে আনন্দ আর ধরছিল না বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শৌভিক দাস, রওশন ঝা, পলক আগরওয়াল ও সায়নদেব মুখোপাধ্যায়ের। দু’হাতে মুখ ঢেকে কেঁদে ফেলল আরও এক শিল্পী অঙ্কিতা বড়ুয়া।

Advertisement

লকডাউনে সব যখন বন্ধ, কলকাতার মনোবিকাশ কেন্দ্রের ছয় পড়ুয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিল্পীরা মিলে লিখে ফেলেছিলেন একটি র‌্যাপ। গান বাঁধার পরে তাতে সুর দেওয়া হয় অনলাইনেই। পরে আলাদা ভাবে দু’দেশের শিল্পীরা সেই গান স্টুডিয়োয় রেকর্ড করে, তার সঙ্গে নেচে ভিডিয়ো শুট করেন। শুক্রবার ‘কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটি’-তে আয়োজিত একটি অনলাইন বৈঠকের মাধ্যমে দু’দেশে একই সঙ্গে সেই ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়।

দু’দেশের ভাষায় এত ব্যবধান সত্ত্বেও এই কাজ হল কী করে? সায়নদেবের বাবা পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় জানালেন, কাজটা বেশ কঠিন ছিল। প্রথমে দু’দেশের শিল্পীদের পরস্পরের কথা বুঝতে অসুবিধাই হচ্ছিল। তা ছাড়া, অনলাইনেই প্রথম দেখা হয়েছিল সকলের। পরিবেশটা সহজ করতে দুই শহরের পরিচিত কিছু বিষয় নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়। দু’দেশের ভাষা পরস্পরকে বোঝানোর কাজটা করেন মনোবিকাশ কেন্দ্রের শিক্ষিকারা। এর পরে শিল্পীদের নিজেদের পছন্দের বিভিন্ন জিনিস নিয়ে লিখতে দেওয়া হয়। সেগুলিই পরে বিশেষজ্ঞেরা সাজিয়ে র‌্যাপের রূপ দেন।

Advertisement

অঙ্কিতার কথায়, ‘‘এর আগে র‌্যাপ কী, জানতাম না। টিভিতে দেখছিলাম ‘গাল্লি বয়’। বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে আমরাও যে সেই র‌্যাপ তৈরি করে ফেলেছি, ভাবলেই দারুণ লাগছে! এমন কাজ যেন আবার হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement