দীর্ঘদিন ধরে খালি অধ্যক্ষের পদ। অফিসার-ইনচার্জকে দিয়ে কলেজ চালানো হচ্ছে। কিন্তু ঠিক সময়ে স্নাতক স্তরের ফল প্রকাশ হয় না। সোমবার এমনই এক গুচ্ছ অভিযোগ তুলে তালা ঝুলিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সরকারি আর্ট কলেজ বন্ধ করে দিলেন ছাত্রছাত্রীরা।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আর্ট কলেজের স্নাতক স্তরের শেষ বর্ষের ফল বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাঁদের কলেজের ফল না-বেরোনোয় অনেকে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে পারছেন না। প্রথম বর্ষে পড়ানোর শিক্ষক নেই। অথচ প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন শিক্ষাবর্ষে ছাত্র ভর্তির দিন ঠিক করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়াদের দাবি, নতুন ছাত্রেরা যাতে সমস্যায় না-পড়েন, সেই জন্যই এই আন্দোলন।
এ দিন দুপুরে কলেজে পৌঁছেই আন্দোলনকারীরা অফিসার-ইনচার্জ চন্দন দাসের কাছে গিয়ে চতুর্থ বা চূড়ান্ত বর্ষের ফল কবে বেরোবে, তা জানতে চান। চন্দনবাবু নির্দিষ্ট কোনও তারিখ জানাতে না-পারায় পড়ুয়ারা জানান, তাঁরা কলেজ চলতে দেবেন না। চন্দনবাবু ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে আন্দোলনকারীরা অধ্যক্ষের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে তালা দেওয়া হয় শ্রেণিকক্ষ-সহ বিভিন্ন ঘরে। চন্দনবাবু অন্য ঘরে বসে থাকেন দীর্ঘ ক্ষণ। ছাত্রছাত্রীরা মূল ফটকে তালা লাগিয়ে তার সামনে ধর্না শুরু করেন।
পড়ুয়াদের অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন চন্দনবাবু। তবে এর জন্য সরকারি গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন তিনি।