আঁধারে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড

বছরখানেক আগেই শহিদ মিনার সংলগ্ন এলাকা থেকে বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রাজ্য সরকার সেই মতো পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও এখনও এখান থেকে বেশ কিছু রুটের বাস ছাড়ে। কিন্তু এখানে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা প্রায় নেই বলেই অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের। সময় বড়জোড় রাত আটটা। বছর ত্রিশের এক তরুণী নবনীতা মণ্ডল বজবজ যাওয়ার বাস ধরার জন্য মেয়ো রোড ধরে হেঁটে ধর্মতলা শহিদ মিনার সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে ঢুকেই একটু ঘাবড়ে গেলেন।

Advertisement

দীক্ষা ভুঁইয়া

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০১
Share:

নেই পর্যাপ্ত আলো। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

বছরখানেক আগেই শহিদ মিনার সংলগ্ন এলাকা থেকে বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রাজ্য সরকার সেই মতো পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও এখনও এখান থেকে বেশ কিছু রুটের বাস ছাড়ে। কিন্তু এখানে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা প্রায় নেই বলেই অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের।

Advertisement

সময় বড়জোড় রাত আটটা। বছর ত্রিশের এক তরুণী নবনীতা মণ্ডল বজবজ যাওয়ার বাস ধরার জন্য মেয়ো রোড ধরে হেঁটে ধর্মতলা শহিদ মিনার সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে ঢুকেই একটু ঘাবড়ে গেলেন। বাস-বে গুলিতে পর পর বিভিন্ন রুটের বাস দাঁড়িয়ে। কিন্তু সেগুলি আপাতত গ্যারেজ করা রয়েছে। চারপাশ শুনশান। আলো প্রায় নেই বললেই চলে।

শুধু নবনীতা নয়, অনেক বাসযাত্রীই স্ট্যান্ডটির বেহাল দশা এবং অপর্যাপ্ত আলো নিয়ে অভিযোগ করেছেন। বাসস্ট্যান্ডটির অধিকাংশ জায়গায়ই পিচ উঠে ইঁট বেরিয়ে গিয়েছে। কোথাও রয়েছে খানাখন্দ। জমা জঞ্জাল থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। অনেকগুলি বাতিস্তম্ভে আলো জ্বলে না।

Advertisement

নিত্যযাত্রীরা জানাচ্ছেন, বড় বড় কয়েকটি টাওয়ার রয়েছে ওখানে। কিন্তু সেই আলো উঁচুতে হওয়ায় বাসস্ট্যান্ডের আলোর অভাব মেটে না। অন্য স্তম্ভগুলির আলো জ্বলে না। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, তা নিয়ে কারও মাথা ব্যাথা নেই। একটু ঠাণ্ডা পড়তেই আটটা পর থেকে জায়গাটা নিস্তব্ধ হয়ে যায়। খুব ভোর থেকেই এই বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস চলাচল শুরু হয়ে যায়। কিন্তু রাতে দূরপাল্লার বাস কিছু ছাড়লেও, সন্ধ্যার পরে অনেক রুটের বাসই বন্ধ হয়ে যায়। তখন এলাকাটি বেশ ফাঁকা হয়ে যায়।

ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে পূর্ত দফতর। দফতরের সিটি অফিস থেকে এলাকার শোচনীয় অবস্থা স্বীকার করে নেওয়া হলেও, জায়গাটি নোংরা থাকা নিয়ে দফতরের আধিকারিকরা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন এলাকার হকারদের বিরুদ্ধে। পূর্ত দফতরের সিটি অফিসের এক আধিকারিক জানান, সকাল আটটায় পরিষ্কার করার দু’ঘণ্টার মধ্যে হকাররা যত্রতত্র জঞ্জাল ফেলে নোংরা করে ফেলেন। আধিকারিকদের প্রশ্ন, দিনে কত বার পরিষ্কার করা যায়? যদিও হকারদের অভিযোগ, নিয়মিত ঠিক সময়ে পরিষ্কার না হওয়াতেই এলাকা নরকের আকার নেয়।

এলাকার বেশিরভাগ আলো যে জ্বলছে না, তা স্বীকার করে নিয়েছেন পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক। তিনি জানান, বড় বড় টাওয়ারের আলোগুলি জ্বললেও, অন্য আলোগুলি জ্বলে না। কারণ, ওই সরু লেনগুলিতে এত বাস দাঁড়িয়ে থাকে যে কাজ করতে অসুবিধা হয়। বিশেষ করে আলোগুলি ঠিক রয়েছে কি নেই, তা-ও পরীক্ষা করা যায় না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement