ফাইল চিত্র।
কলকাতার রানওয়েতে নামার পরে তা খালি করে বেরিয়ে যেতে এ বার সময় লাগবে এক মিনিটেরও কম।
বহু বছর ধরে তৈরি হয়ে পড়ে থাকা ‘র্যাপিড ট্যাক্সিওয়ে’ ব্যবহারের অনুমোদন অবশেষে এসে পৌঁছেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর কাছ থেকে। তবে এই সুবিধা শুধুমাত্র কলকাতার প্রধান রানওয়ের উত্তর প্রান্তে বিরাটির দিক থেকেই পাওয়া যাবে। প্রধান রানওয়ের রাজারহাটের দিকে এই সুবিধা নেই। দ্বিতীয় রানওয়ে দিয়ে বিমান ওঠানামা করার সময়েও উত্তর প্রান্তে এই নতুন ‘রোমিও’ র্যাপিড ট্যাক্সিওয়ের সুবিধা মিলবে বলে বিমানবন্দর সূত্রের খবর। এ ব্যাপারে বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কলকাতার জন্য এটা খুব ভাল খবর। শীঘ্রই আমরা সবাইকে জানানোর জন্য নোটাম (নোটিস টু এয়ারমেন) জারি করব।’’
এখন কলকাতার প্রধান রানওয়ে থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫টি বিমান ওঠানামা করছে। র্যাপিড ট্যাক্সিওয়ে ‘রোমিও’ চালু হলে প্রায় ৪২টি বিমান ওঠানামা করতে পারবে বলে বিমানবন্দর সূত্রের খবর। উত্তর প্রান্তে প্রধান রানওয়েতে নেমে এখন সেখান থেকে বেরোতে প্রায় এক মিনিট সময় লাগে। রোমিও চালু হলে সেই সময় নেমে আসবে মাত্র ৪৫ সেকেন্ডে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রানওয়ের মাটি ছোঁয়ার সময়ে বিমানের গড় গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় প্রায় ২৬০-৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে। প্রচণ্ড জোরে ব্রেক কষে গতিবেগ একেবারে শূন্যের কাছাকাছি এনে তবে ট্যাক্সিওয়ে দিয়ে বেরিয়ে যায় বিমান। কিন্তু রোমিও এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে বিমানের গতি ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার থাকলেও সেই ট্যাক্সিওয়ে দিয়ে বিমান রানওয়ে খালি করে বেরিয়ে যেতে পারবে। ফলে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পরের বিমানকে নামার জন্য অনুমতি দেওয়া যাবে। অথবা যে বিমান কলকাতা থেকে ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করছে, তাকে রানওয়েতে ঢোকার অনুমতিও দেওয়া যাবে।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হয়ে পড়ে থাকা রোমিও এত দিন ব্যবহার করা হচ্ছিল ঠিকই। তবে যেহেতু তার সবুজ সঙ্কেত এসে পৌঁছয়নি, তাই তা সরকারি ভাবে পাইলটদের জানানো হচ্ছিল না। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ‘‘রোমিও যে ব্যবহার করা যাবে, তা যেহেতু আগে থেকে পাইলটদের জানা ছিল না, তাই অনেক বিমানই রোমিও পৌঁছনোর আগে গতি কমিয়ে ৯০ কিলোমিটারে আনতে পারছিল না। এ বার আগে থেকে জানা থাকলে, পাইলটেরা নামার মুখেই অঙ্ক কষে গতি কমিয়ে রোমিও দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারবেন।’’