Violation of Laws on Independence day

পুলিশের সংখ্যা বাড়লেও উৎসব পালনে বিরাম নেই বিধিভঙ্গের

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অতিরিক্ত চার হাজার পুলিশকর্মী নামানো হয় শহরের রাজপথে। একশোরও বেশি জায়গায় ছিল পুলিশের নাকা তল্লাশির ব্যবস্থা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২৩ ০৫:৪৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

উৎসবের নামে বিধিভঙ্গের প্রবণতায় লাগাম দিতে শহরের রাস্তায় বাড়ানো হয়েছিল পুলিশকর্মীর সংখ্যা। তবু পথে নেমে বেপরোয়া উৎসব-যাপন রোখা গেল না। মোটরবাইকের পিছনে একাধিক জনকে বসিয়ে চলল দেদার ছুট। কোথাও সোমবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া শব্দের তাণ্ডব চলল মঙ্গলবার সারা দিন ধরে। স্বাধীনতা দিবস পালনের উৎসবের মাঝেই তাই আরও এক বার প্রশ্ন উঠল, উৎসবের নামে বিধি ভাঙার এই প্রবণতা বন্ধ হবে কবে?

Advertisement

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অতিরিক্ত চার হাজার পুলিশকর্মী নামানো হয় শহরের রাজপথে। একশোরও বেশি জায়গায় ছিল পুলিশের নাকা তল্লাশির ব্যবস্থা। শহরের শপিং মল থেকে শুরু করে বিভিন্ন বেড়াতে যাওয়ার জায়গায় ছিল পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা। গত বছর স্বাধীনতা দিবসে অতিরিক্ত পুলিশকর্মীর সংখ্যা ছিল প্রায় তিন হাজার। বিধি ভাঙার বহর আটকাতে এ বছর সেই সংখ্যাটা লাফিয়ে বাড়ানো হয় প্রায় এক হাজার। তবু বিধিভঙ্গের ছবির কোনও বদল হয়নি।

স্বাধীনতা দিবসের উৎসবকে কেন্দ্র করে বিধি ভাঙার পর্ব অবশ্য শুরু হয়েছিল সোমবার রাত থেকেই। শহরের বহু রাস্তায় মোটরবাইক বা গাড়িতে বড় জাতীয় পতাকা লাগিয়ে গতির তুফান তুলতে দেখা গিয়েছে। ই এম বাইপাসে পতাকা লাগিয়ে বাইকের পিছনে একসঙ্গে দু’-তিন জনকে বসিয়েও দেদার ছুটতে দেখা যায়। এমনকি, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতেও দেখা গিয়েছে অনেককে। শহরের বাকি অংশেও ছিল বিধিভঙ্গের কার্যত একই ছবি। বহু জায়গায় পুলিশের সামনে দিয়েই দুরন্ত গতিতে এগিয়েছে বাইক বা গাড়ি। এ দিন সকালে রাস্তাঘাট তুলনামূলক ভাবে ফাঁকা থাকলেও বিধি ভাঙার অবশ্য বিরাম ছিল না। শহরের একাধিক জায়গায় আবার বড় বড় সাউন্ড বক্স লাগিয়ে পিকনিকে মেতেছেন অনেকে। যার জেরে শব্দতাণ্ডবে অতিষ্ঠ হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। মানিকতলা, গিরিশ পার্ক থেকে শুরু করে হরিদেবপুর, বাঁশদ্রোণী, পর্ণশ্রী— সর্বত্রই এই ছবি। শব্দতাণ্ডবে অতিষ্ঠ পর্ণশ্রীর এক বাসিন্দার যদিও বক্তব্য, ‘‘রাত থেকেই শুরু হয়েছে। পতাকা উত্তোলনের নামে হিন্দি গান চালিয়ে নাচের আসর বসিয়েছে মনে হচ্ছে। যা শব্দ, আমাদের মতো বুড়োদের বাড়িতে টেকা দায় হয়ে উঠেছে।’’

Advertisement

পুলিশের তরফে যদিও সর্বত্র সতর্ক দৃষ্টি ছিল বলেই দাবি করা হয়েছে। বিধি ভাঙা প্রসঙ্গে লালবাজারের এক কর্তার দাবি, ‘‘একাধিক জায়গাতেই নিয়ম ভাঙায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিধিভঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সুবিধাও নেওয়া হয়েছে। পুলিশি ব্যবস্থায় কোনও ঢিলেমি ছিল না।’’

তবে, বিধিভঙ্গের ছবি বাদ দিলে সারা শহরে এ দিন ছিল উৎসবের মেজাজ। বিভিন্ন ক্লাব, স্কুল থেকে সংগঠন— সর্বত্রই স্বাধীনতা দিবস ঘিরে নানা উৎসবের আয়োজন ছিল। শপিং মল, রেস্তরাঁয় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। জাতীয় পতাকার রং মিলিয়ে পোশাক পরা কচিকাঁচাদের দেখাও মিলেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement