ছবি সংগৃহীত
এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও দিল্লি থেকে উড়ে এসে সরাসরি কলকাতায় নামল একটি বিমান। আর তা থেকে নেমে এলেন ১১ জন যাত্রী। যদিও সবটাই আবহাওয়ার কারণে। গত ২৪ জুলাই, শুক্রবারের ঘটনা।
রাজ্য সরকারের অনুরোধে দেশের ছ’টি শহর থেকে কলকাতার সরাসরি উড়ান চলাচল বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে দিল্লি, মুম্বইও রয়েছে। আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এর মধ্যে যাঁদের দিল্লি যাতায়াত করতে হচ্ছে, তাঁরা অন্য শহর ঘুরে যাতায়াত করছেন। সেই তালিকায় রাজ্যের শাসক দলের সাংসদও রয়েছেন।
সাধারণত, এক শহর থেকে ওড়ার আগে পাইলটকে গন্তব্য শহরের বিকল্প হিসেবে দ্বিতীয় বিমানবন্দরের কথা জানিয়ে রাখতে হয়। কোনও কারণে গন্তব্য শহরে নামতে না পারলে তাঁকে বিকল্প বিমানবন্দরে নামিয়ে আনা হয়।
গত শুক্রবার ভোর ৫টায় দিল্লি থেকে রওনা হওয়ার সময়ে ইন্ডিগোর পাইলট গুয়াহাটির বিকল্প হিসেবে কলকাতা বিমানবন্দরের কথা জানান। কেউ তখন খেয়াল করেননি যে, কলকাতায় এখন দিল্লি থেকে যাত্রী উড়ান আসায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
সকাল ৭টা নাগাদ ১৩২ জন যাত্রীকে নিয়ে গুয়াহাটির আকাশে পৌঁছে পাইলট দেখেন, সেখানে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। বিমানের মুখ ঘুরিয়ে তিনি কলকাতায় নেমে আসেন।
কলকাতায় নামার পরে তাঁকে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার কারণে যাত্রীদের বিমানেই বসে থাকতে হবে। কিন্তু বিমানবন্দর সূত্রের খবর, কিছু ক্ষণ বসার পরে অধৈর্য হয়ে যাত্রীরা নেমে আসতে চান।
ওই যাত্রীদের মধ্যে এমন ১১ জন ছিলেন, যাঁদের আসল গন্তব্য ছিল কলকাতাই। বিমান থেকে নেমে আসার পরে তাঁরা আবার গুয়াহাটি যেতে রাজি হননি। গুয়াহাটির আকাশ পরিষ্কার হলে বাকি যাত্রীদের নিয়ে বিমান উড়ে গেলেও ওই ১১ জন থেকে যান।