—প্রতীকী ছবি।
জল এনে দিল কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃতি। অথচ, জলেরই সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায়। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ‘অম্রুত-২’ প্রকল্পে এই স্বীকৃতি মিলেছে। তাতে জল সরবরাহ, জলের গুণমান-সহ একাধিক বিষয়ে কেন্দ্র একটি সমীক্ষা চালায়। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতেই দক্ষিণ দমদমকে বেছে নেওয়া হয়েছে এই স্বীকৃতির জন্য। কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে এই খবর জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠান পরে হবে।
দক্ষিণ দমদম পুরসভা জানিয়েছে, ওই পুর এলাকায় এক লক্ষ ১৭ হাজার জলের সংযোগ রয়েছে। তার মধ্যে ৮০ হাজার সংযোগ আগেই দেওয়া হয়েছিল। ‘অম্রুত-২’ প্রকল্পে বাকি প্রায় ৩৮ হাজার জলের সংযোগ দেওয়ার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সেই কাজ হয়েছে। এই প্রকল্পের টাকাতেই ওই ৩৮ হাজার সংযোগে জলের মিটার বসানো হয়েছে। পরের পর্যায়ে,
‘অম্রুত-৩’ প্রকল্পে আরও ৮০ হাজার সংযোগে জলের মিটার বসানোর প্রস্তাব জমা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
অথচ, দক্ষিণ দমদমের ৩৫টি ওয়ার্ডের একাধিক এলাকায় আজও জলের সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি। পুরকর্তাদের একাংশের দাবি, গঙ্গার জলস্তর নেমে যাওয়ায় কামারহাটি জল প্রকল্প থেকে সরবরাহ কমে গিয়েছে। জোগানে দেখা দিয়েছে ঘাটতি। তাই ভূগর্ভস্থ জল তুলে পরিস্থিতি সামলাতে হচ্ছে। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সমস্যা চলছে। মাঝেমধ্যেই এক-এক বেলায় জল আসছে না। ছ’নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘বেশ কয়েক দিন জল কিনে খেতে হয়েছিল। খুব সঙ্কীর্ণ ধারায় জল পড়ছিল। জলসঙ্কট নিয়েই আমাদের চলতে হচ্ছে।’’ বৃহস্পতিবারেও সেই সমস্যা দেখা গিয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ।
বাসিন্দাদের তাই প্রশ্ন, এই যদি অবস্থা হয়, তা হলে স্বীকৃতি পেয়ে লাভ কী? সমস্যা পুরোপুরি মিটবে কবে?
যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পুরোপুরি মানতে নারাজ পুর কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, বাঙুর এলাকায় পুরসভার নিজস্ব জল প্রকল্প হওয়ায় ১০টি ওয়ার্ডে জলসঙ্কট মিটেছে। ওই সমস্ত ওয়ার্ডে পলতা এবং কামারহাটি প্রকল্প থেকে যে জল আসে, তা পুরসভার বাকি ২৫টি ওয়ার্ডে সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে, দু’টি ওভারহেড রিজ়ার্ভারের কাজ চলছে। সেই দু’টি চালু হলে জল-সমস্যা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে দাবি পুরকর্তাদের একাংশের।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের এক চেয়ারম্যান পারিষদ মুনমুন চট্টোপাধ্যায় জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের ওই প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ২৫টি ওয়ার্ডে জলের জোগান অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। দু’টি ওভারহেড রিজ়ার্ভারের কাজ চলছে। সেই কাজ শেষ হলে জলের জোগানের সমস্যা মিটে যাবে।