টালায় এই রোড ওভারব্রিজ (আরওবি)-টি ৬টি স্তম্ভের উপরে তৈরি হবে। সেতু নির্মাণের বিস্তারিত নকশা নিয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর রাজ্য এবং রেল কর্তাদের মধ্যে বৈঠকও হয়। ফাইল চিত্র
টালা সেতুর প্রাথমিক নকশার অনুমোদন দিল রেল। উত্তর কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু ভেঙে ফের নতুন করে তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য। সেতুর জীর্ণ ‘স্বাস্থ্য’র কারণেই এই সিদ্ধান্ত। পূর্ত দফতরের তত্ত্বাবধানে সেতু নির্মাণ হলেও, মাঝেরহাটের মতোই রেলের অনুমতি প্রয়োজন। সে কারণে প্রস্তাবিত টালা সেতুর নকশা পাঠানো হয়েছিল রেলের কাছে।
শুক্রবার পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, পূর্ত দফতরে পাঠানো নকশা (জেনারেল অ্যারেঞ্জমেন্ট ড্রইং) অনুমোদন করা হয়েছে। বিষয়টি লিখত ভাবেও রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে। টালা সেতুর উপর দিয়ে প্রথমে ভারী যান চলাচল বন্ধ করা হয়। পরে সব ধরনের গাড়ি চালাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় দুর্ভোগ বাড়ে শহরবাসীর। দ্রুত সেতু নির্মাণ হলে সেই সমস্যাও দূর হবে।
টালায় এই রোড ওভারব্রিজ (আরওবি)-টি ৬টি স্তম্ভের উপরে তৈরি হবে। সেতু নির্মাণের বিস্তারিত নকশা নিয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর রাজ্য এবং রেল কর্তাদের মধ্যে বৈঠকও হয়। নকশার অনুমোদনের পর সেতু নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করতে চাইছে পূর্ত দফতর। লকডাউন এবং করোনার কারণে টালা সেতু ভাঙার কাজের গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে গিয়েছিল। নকশার অনুমোদন পাওয়ার পর, প্রকল্পটি গতি পাবে বলে মনে করছেন ইঞ্জিনিয়াররা। যদিও কত দিনে তা শেষ হবে, সে বিষযে এখনও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি।
মাঝেরহাটের মতোই টালার ভারবহনের ক্ষমতা বাড়ানো হবে টালা ব্রিজের। লম্বায় এবং চওড়াতেও কিছুটা বড় হবে এই সেতু। মাঝেরহাটের মতোই দেখতে হতে পারে টালা সেতুটি। থাকবে অত্যাধুনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবস্থাপনাও।
মাঝেরহাট সেতু তৈরি নিয়ে রেল এবং রাজ্যের মধ্যে টানাপোড়েন কম হয়নি। সেতু উদ্বোধনে সময় লেগে গিয়েছিল ২ বছর ৩ মাস। মনে করা হচ্ছে, সেই ঘটনা থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়ে টালা সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই জটিলতা এড়াতে চাইছে দু’পক্ষেই।
আরও পড়ুন: এজেসি বসু রোডে উড়ালপুলে দুর্ঘটনায় মৃত্যু এক ব্যক্তির
আরও পড়ুন: ময়দান নিয়ে কমিটি হাইকোর্টের