Dengue & Malaria

বাংলাদেশ-সহ ভিন্‌রাজ্যের ডেঙ্গি আক্রান্তেরা এই শহরে চলে আসছেন! মেনে নিল কলকাতা পুরসভা

বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই আবার কলকাতায় এসে পড়ছেন। এমতাবস্থায় কলকাতা পুরসভা সেই সব ডেঙ্গি আক্রান্তদের নিয়ে কী ভাবছে? এমন প্রশ্নের জবাবে খানিক বিব্রতই দেখিয়েছে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:১৪
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে দাপট দেখাতে শুরু করেছে ডেঙ্গি। গত বছরের তুলনায় সংক্রমণ আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে সে দেশে। বৃদ্ধি ঘটেছে মৃত্যুর হারেও। আর বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই আবার কলকাতায় এসে পড়ছেন। এমতাবস্থায় কলকাতা পুরসভা সেই সব ডেঙ্গি আক্রান্তদের নিয়ে কী ভাবছে? এমন প্রশ্নের জবাবে খানিক বিব্রতই দেখিয়েছে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। এ ক্ষেত্রে যে তাঁর কাছে সচেতনতা বাড়ানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই, তা স্বীকার করে নিয়েছেন মেয়র। তবে কলকাতায় কেউ ডেঙ্গি কিংবা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলে তাঁদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, তা জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

মেয়র বলেছেন, ‘‘শুধু বাংলাদেশ থেকেই নয়, অন্য জায়গা থেকেও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মানুষ শহরে ফিরছেন। আমরা তো আর মানুষের যাতায়াতকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না! কিন্তু, আমাদের সচেতন থাকতে হবে। কলকাতা পুরসভার সব ক্লিনিকগুলিকে তৈরি রাখতে হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সতর্ক থাকব। সাধারণ মানুষের কাছে আমরা বার বার অনুরোধ করছি, সেই অনুরোধপর্ব চালিয়ে যেতে হবে। পুজো উদ্যোক্তাদের অনুরোধ করব, হোর্ডিং টাঙিয়ে কিংবা মাইকিং করে যাতে বিষয়গুলি বলা যায়। কারণ, সচেতনতার উপরেই ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার নিয়ন্ত্রণ নির্ভর করছে। কোনও সরকারি মেশিনারি নেই যে, এই ধরনের রোগ একশো শতাংশ নিরাময় করতে পারবে।’’ তবে এই সময়ে শহরে বৃষ্টি কমেছে আর এই সময়েই ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মেয়র।

বাংলাদেশে ডেঙ্গি ভয়াবহ আকার নিলেও কলকাতা শহর যে গত বছরের তুলনায় ভাল অবস্থায় রয়েছে, সেই বিষয়ে তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায়চৌধুরী। মেয়রের উপস্থিতিতে তিনি জানিয়েছেন, গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর অবধি ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩,৮১০। এ বছর সেখানে ৪১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ৮৯.২২ শতাংশ কমেছে আক্রান্তের সংখ্যা। ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে গত বছর এই সময়ে ৫৭২০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ বছর ৩০১৯ জন এখনও অবধি আক্রান্ত হয়েছেন। ৪৭.২২ শতাংশ কম।

Advertisement

পুজোর সময়েও যে পুরসভার পক্ষ থেকে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ফিরহাদ। তিনি বলেছেন, ‘‘পুজো প্যান্ডেলের ত্রিপলে খাঁজে যাতে জল না জমে বা বাঁশের উপরের ফুটোয় যাতে জল না জমতে পারে, এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে পুজো উদ্যোক্তাদের আমি অনুরোধ করছি। প্যান্ডেলের চারপাশ যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়।’’

মেয়র আরও বলেন, ‘‘ডেঙ্গির সঙ্গে এক রকমের ভাইরাল ফিভারও হচ্ছে। তিন থেকে চার দিন জ্বর থাকছে, সর্দি-কাশি হচ্ছে। আবার ঠিক হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং জ্বর হলেই এ বিষয়ে টেস্ট করে নেওয়া উচিত। আমাদের সব ওয়ার্ডে এখন দুটো কিংবা তিনটে করে স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। সে ক্ষেত্রে জ্বর হলেই ডেঙ্গি পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।’’ কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে অটো মাইকিং করা হচ্ছে। পুজোর দিনগুলিতেও এমন মাইকিং হবে। যাতে কোনও এলাকায় জল না জমে, সে বিষয়ে যেন পুজো কমিটিগুলি বিশেষ ভাবে দায়িত্ব পালন করে, সে বিষয়েও নজর দিতে বলা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement