Jadavpur University

ডেঙ্গি নিয়ে যাদবপুরের ‘গড়িমসি’-তে ক্ষুব্ধ ডেপুটি মেয়র, রেজিস্ট্রারের জবাব, লোকবলই নেই

রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার ভিতরে এমন অনেক পরিত্যক্ত অংশ রয়েছে, যেগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়। ওই জমি সাফাই করা তাঁদের দায়িত্ব নয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:২৬
Share:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। — ফাইল চিত্র।

বার বার সতর্ক করা হয়েছে। বেশ কয়েক বার পরিদর্শনে এসে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক থেকে ডেপুটি মেয়র। বেশ কয়েজ জন পড়ুয়া ও কর্মী ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। এক পড়ুয়ার মৃত্যুও হয়েছে। তার পরেও যাদবপুরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পরিষদ তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু এ জন্য লোকবলের অভাবকেই দায়ী করলেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অতীন। সেখানে দাঁড়িয়ে রেজিস্ট্রারকে পাশে নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। জানালেন, ক্যাম্পাস নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। পরিত্যক্ত পাত্রে জল জমে থাকছে এবং সেখানে মশার লার্ভা জন্ম নিচ্ছে। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে পুরসভাকে কিছু জানানো হচ্ছে না বলেও অভিযোগ অতীনের। দু’বার নোটিস পাঠিয়েও লাভ হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন ১০ নম্বর বরোর চেয়ারপার্সন জুঁই বিশ্বাস। এই বরোর মধ্যেই পড়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করছি। অনেক জায়গা পরিষ্কার হয়েছে। কিন্তু যেটা প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে লোকবল। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত লোকবল নেই। যে কারণে প্রায় ৬৬ একর জমিতে থাকা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি জায়গায় নজরদারি এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা যাচ্ছে না।’’ তবে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার ভিতরে এমন অনেক পরিত্যক্ত অংশ রয়েছে, যেগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়। সেগুলি বিশ্ববিদ্যালয় লাগোয়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি। ওই জমি সাফাই করা তাঁদের দায়িত্ব নয়।

Advertisement

অতীন জানিয়েছেন, এই সাফাইয়ের কাজ হয়ে যাওয়ার পর তিনি নিজে দেখতে আসবেন। প্রয়োজনে সব ধরনের সাহায্য করবে পুরসভা। যাদবপুরের কৃষ্ণাগ্লাস কারখানার জমির অবস্থা দেখেও ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন অতীন। সেই জমি বহু বছর আগে হাতে নেয় রাজ্য সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement