ফাইল ছবি
পরিসংখ্যান বলছে, পুর এলাকায় আগের থেকে কমেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। তবু পুজোর মুখে ফের নতুন করে কয়েকটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি চিন্তা বাড়িয়েছে দক্ষিণ দমদম পুর প্রশাসনের। ২৪, ২৫, ২৭ ও ২৯ নম্বর-সহ কয়েকটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, তাই পুজোর আগে ওই সব ওয়ার্ডে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে মেডিক্যাল ক্যাম্প ছাড়াও বিনামূল্যে রক্ত পরীক্ষার কাজও শুরু করা হয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছিল। বর্তমানে সেই সংখ্যাটি ৬৪। পুরসভার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১০ জন, বাকিদের বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয়দের একাংশের অবশ্য অভিযোগ, খালের পর্যাপ্ত সংস্কার না-হওয়ার পাশাপাশি সচেতনতার অভাবও ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধির বড় কারণ। আরও অভিযোগ, চলতি বছরে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে প্রথম থেকেই পুরসভার তেমন তৎপরতা চোখে পড়েনি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে পুর প্রশাসন দায়ী করছেন নাগরিকদের অসচেতনতা ও বিধি না মানার প্রবণতাকেই।
পুরসভার দাবি, প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচার ও মশার তেল ছড়ানোর কাজে জোর দেওয়া হয়েছে। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজু সেনশর্মার নেতৃত্বে নিজের বাড়ি পরিষ্কার রাখার প্রতিযোগিতা চলছে। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে পুজো কমিটি ও ক্লাবের সদস্যদের দিয়ে সচেতনতার প্রচার করাচ্ছেন নির্দল কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, যে সমস্ত ওয়ার্ডে প্রকোপ বেড়েছে, সেখানে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে সচেতনতার অভাব রয়েছে। সকলকে সঙ্গে নিয়ে মানুষকে বোঝানোর কাজ চলছে। এলাকায় জমা জল সরানোর পাশাপাশি, আবর্জনা ও জঙ্গল সাফাইয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।