প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসের পাশাপাশি ডেঙ্গির প্রকোপও যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে বাসিন্দাদের কাছে লিফলেট পাঠিয়ে আবেদন জানাচ্ছে বিধাননগর পুরসভা। বাড়ির কোথাও যাতে জল জমে না থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে বাসিন্দাদের।
মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, করোনার পাশাপাশি মশাবাহিত রোগের মোকাবিলাতেও জোরকদমে কাজ করছে পুরসভা। তবে বাসিন্দাদেরও এই কাজে এগিয়ে আসতে হবে। বর্ষায় রাস্তার জমা জল সাফাইয়ের কাজ করছে পুরসভা। মেয়রের আর্জি, বাড়ির ছাদে, বাগানে, টবে বা অন্য কোথাও জল যাতে জমে না-থাকে, সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে বাসিন্দাদের।
বাসিন্দাদের অনেকেরই বক্তব্য, করোনা নিয়ে চিন্তা দূর হচ্ছে না। এর উপরে বর্ষায় মশাবাহিত রোগ নিয়ে আশঙ্কা তো রয়েছেই। তাই পুরসভাকে সহযোগিতার জন্য তাঁরা প্রস্তুত।
করোনার সংক্রমণ রুখতে নিয়মিত ভাবে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। পাশাপাশি, চলছে মশা নিয়ন্ত্রণে স্প্রে করার কাজও। ড্রোনেও নজরদারি চালানো হবে বলে সূত্রের খবর। তবে কন্টেনমেন্ট জ়োনে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের কাজে পুরকর্মীদের সুরক্ষার দিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। প্রয়োজনে বিশেষ বর্ম-বস্ত্র পরেই তাঁদের ওই সব এলাকায় কাজে পাঠানো হতে পারে। ৩৮ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে অবশ্য ইতিমধ্যেই ওই পোশাক পরে কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর তুলসী সিংহরায় জানান, যখন তাঁর ওয়ার্ডে কন্টেনমেন্ট জ়োন ছিল, সে সময়ে পুরকর্মীদের সুরক্ষা-পোশাক পরিয়ে কাজ করানো হয়েছিল।
তবে সব ওয়ার্ডে এখনও তা সম্ভব হয়নি বলেই পুরসভা সূত্রের খবর। ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে কয়েক জন পুরকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এক পুরকর্তা জানান, সে কথা মাথায় রেখেই কন্টেনমেন্ট জ়োনে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে বিশেষ সুরক্ষা পোশাক পরিয়েই কাজ করানোর কথা ভাবা হচ্ছে।