প্রতীকী ছবি।
চলতি মাসে করোনার প্রকোপ ঊর্ধ্বমুখী থাকার সময়ে প্রায় প্রতিদিনই শতাধিক বাসিন্দা সংক্রমিত হচ্ছিলেন দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায়। মাঝে এক দিন সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৭-তে পৌঁছেছিল। তবে গত কয়েক দিন সেই গতিতে ছিল ভাটার টান। মঙ্গলবার পুর কর্তৃপক্ষকে আরও খানিকটা স্বস্তি দিয়ে সংক্রমিতের সংখ্যা কমে দাঁড়াল ৫২-তে। যা অনেকটাই আশাব্যঞ্জক বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।
তবে তাঁরা জানিয়েছেন, আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও সকলে যাতে কোভিড-বিধি মেনে চলেন, তার জন্য লাগাতার প্রচার-সহ অন্যান্য পদক্ষেপ চালু থাকবে। পাশাপাশি পুরসভা সূত্রের খবর, সংক্রমণের নিম্নমুখী গতির এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগামী মাস থেকে পুনরায় দোকান-বাজার স্বাভাবিক নিয়মে খোলা রাখার কথা ভাবা হবে। যদিও বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, উপসর্গ থাকলেও অনেকে পরীক্ষা করাচ্ছেন না। তাঁরা বাইরে যাতায়াত করছেন। এমন ব্যক্তিদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই কড়া নিয়ন্ত্রণ-বিধি বলবৎ থাকুক।
পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন নতুন করে যে ৫২ জন আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১৭টি ওয়ার্ডের ১৯ জন, রাজারহাট-গোপালপুর লাগোয়া আটটি ওয়ার্ডের ১২ জন এবং বাকি ১০টি ওয়ার্ডের ২১ জন রয়েছেন। সংক্রমণ কমতে থাকায় আশান্বিত পুরকর্তারা। যদিও চলতি মাসে ছ’জনের মৃত্যুও হয়েছে।
দক্ষিণ দমদমের মুখ্য প্রশাসক জানান, সপ্তাহে তিন দিন বাজার-দোকান বন্ধ রাখার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা চলতি মাসের বাকি দিনগুলিতেও বহাল থাকবে। আগামী মাস থেকে প্রতিদিন দোকান-বাজার চালু রাখা যায় কি না, পরিস্থিতি দেখে তা ঠিক করা হবে।
এ দিন আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে দমদম পুর এলাকাতেও। সোমবার সেখানে ২৭ জন সংক্রমিত হয়েছিলেন। পুরসভার উপ-মুখ্য প্রশাসক বরুণ নট্ট জানান, পরিসংখ্যানের উপরে নজর রাখা হচ্ছে। সংক্রমণ কমতে থাকলে সপ্তাহে দু’দিন বাজার-দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে।