সল্টলেকের নামী চোখের হাসপাতালের লিফ্টের গর্তে পচাগলা দেহ

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন পচা গন্ধ পেয়ে তার উৎস সন্ধান করতে গিয়ে ওই হাসপাতালের কর্মীরা লিফ্টের গর্তে দেহটি দেখতে পান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:০০
Share:

মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র

লিফ্টের গর্তে মিলল নিরাপত্তারক্ষীর পচাগলা দেহ। বুধবার বিকেলে সল্টলেকের একটি নামী চোখের হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সন্দেহ, খুন করা হয়েছে ওই নিরাপত্তারক্ষীকে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন পচা গন্ধ পেয়ে তার উৎস সন্ধান করতে গিয়ে ওই হাসপাতালের কর্মীরা লিফ্টের গর্তে দেহটি দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বিধাননগর (দক্ষিণ) থানার পুলিশকে। তদন্তকারীরা এসে পচাগলা সেই দেহ উদ্ধার করেন। এক তদন্তকারী বলেন, ‘‘দেহে এতটাই পচন ধরে গিয়েছে যে, দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতের শিফ্টে কাজে এসেছিলেন নারায়ণ কুণ্ডু নামে একটি বেসরকারি সংস্থার ওই নিরাপত্তাকর্মী। সোমবার সকাল থেকে তাঁর খোঁজ না পাওয়া যাওয়ায় ওই দিন বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয় হাসপাতালের তরফে।

এ দিন ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখার পর ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এস কে সাহা বলেন, ‘‘এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয় বলেই মনে হচ্ছে। কারণ লিফ্টের গর্তে ঝাঁপ দেওয়া সম্ভব নয়।” তা হলে লিফ্ট লাগানো অবস্থায় ওখানে দেহটি কী ভাবে পৌঁছল? পুলিশ এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে লিফ্টের চাবি থাকে। কখনও লিফ্ট আটকে গেলে ওই চাবি দিয়ে দরজা খুলে আটকে থাকাদের উদ্ধার করা হয়। সেই পদ্ধতিতেই কোনও একটি তলার লিফ্টের দরজা খুলে দেহটি ফেলে দেওয়া সম্ভব। সেখান থেকে তদন্তকারীদের ধারণা, ওই নিরাপত্তাকর্মীকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।

Advertisement

পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ওই রাতে যে নিরাপত্তারক্ষীরা ডিউটিতে ছিলেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এক তদন্তকারী বলেন, ‘‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement