প্রতীকী ছবি
এ বার থেকে নির্মীয়মাণ বহুতলের নকশা অনুমোদনের সময়েই দেখে নেওয়া হবে জল এবং নিকাশি লাইনের ব্যবস্থা। শহরের সব বহুতলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য এই নিয়ম।
শনিবার কলকাতা পুরসভার ‘টক টু কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন’-এ বাইপাস সংলগ্ন আনন্দপুরের একটি বহুতলের বাসিন্দা জলকষ্ট নিয়ে অভিযোগ জানাতে ফোন করেন। এর প্রেক্ষিতে পুরসভার প্রশাসনিকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বহুতল তৈরির আগেই নিকাশি ও পানীয় জলের লাইনের নকশা দেখে নিতে এখন নির্দেশ দিয়েছি।”
পুর আধিকারিকেরা জানান, এত দিন বাড়ি তৈরির শংসাপত্র (কমপ্লিশন সার্টিফিকেট) থাকলে তবেই জল এবং নিকাশি লাইনের বিষয়টি দেখা হত। সে ক্ষেত্রে অনেক সময়েই সমস্যা তৈরি হচ্ছিল বলে বাসিন্দারা অভিযোগ করছিলেন। নতুন এই নির্দেশিকার ফলে নির্মীয়মাণ বহুতলের নিকাশি এবং পানীয় জলের সংযোগের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা থাকবে না বলেই দাবি পুর আধিকারিকদের।
চেয়ারম্যান জানান, বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় ধাপা থেকে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। ওই জলপ্রকল্প থেকে প্রতিদিন ৩ কোটি গ্যালন পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। এই অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কথা ভেবে যাতে আরও পানীয় জলের সরবরাহ বাড়ানো যায়, তাই ওই প্রকল্পের জল ধারণ ক্ষমতাও বাড়ানো হচ্ছে। গড়িয়াতেও তৈরি হচ্ছে একটি জল শোধনাগার।
এ দিন ওই অনুষ্ঠানে অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিলের অভিযোগ জানিয়েও এক নাগরিক ফোন করেন। প্রশাসকের কাছে এর প্রতিকার চেয়ে আবেদন জানান তিনি। ফিরহাদ জানান, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি দেখছেন।