—ফাইল চিত্র
তুবড়ি ফেটে তাঁর মতো যেন আর কারও সন্তানের মৃত্যু না হয়।
বেহালার শীলপাড়া এলাকায় বিদ্যাসাগর শ্যামাপূজা সমিতির পুজো মণ্ডপে এসে শনিবার এমনটাই বললেন তুবড়ির আঘাতে মৃত শিশুর বাবা কাজল দাস। কালীপুজোর রাতে কাজলবাবুর পাঁচ বছরের ছেলে আদির মৃত্যু হয় তুবড়ি বিস্ফোরণে। ওই ধরনের প্রাণঘাতী বাজি যারা বানান, তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি করেন কাজলবাবু।
শনিবার শীলপাড়ার বিদ্যাসাগর শ্যামাপুজো সমিতি ২৫ জন দুঃস্থ বাচ্চাদের নিয়ে দিনভর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সম্পাদক সুজিত নন্দী বলেন ,‘‘প্রতিবার কালীপুজোর পরে নানা অনুষ্ঠান হয়। এ বারে পাড়ার আদি দাসের ওই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার পরে সব অনুষ্ঠান বাতিল করেছি। তার বদলে দুঃস্থ বাচ্চাদের সঙ্গে দিনভর কাটালাম।’’ দুপুরে পুজো কমিটির তরফে বাচ্চাদের খাওয়ানো ছাড়াও তাদের জন্য ম্যাজিক শো-র আয়োজন করা হয়। সেখানে আদির বাবা কাজলবাবুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
কাজলবাবু বলেন, ‘‘বাচ্চাদের সঙ্গে থেকে সময়টা ভাল কাটল। স্ত্রীর মানসিক অবস্থা এখনও ঠিক হয়নি।’’