মৃত্যুর কারণ ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। প্রতীকী ছবি।
ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের দেহ। মৃতের নাক দিয়ে রক্ত বেরিয়ে গিয়েছিল বলে জানাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তাই মৃত্যুর কারণ ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে গিরিশ পার্কের মদন চ্যাটার্জি লেনের একটি আবাসনে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুপ্রতীক চক্রবর্তী (২৮)। তিনি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ওই যুবক কিছু খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। তাই নাক দিয়ে রক্ত বেরিয়েছিল। ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেটির হাতের লেখা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। সুপ্রতীকের মোবাইলে তাঁর করা একটি ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, সুপ্রতীক তাঁর ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। অনেক আগে তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে। গত অগস্টে বাবার মৃত্যুর পর থেকে তেতলার ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন সুপ্রতীক। তিনি অবসাদে ভুগছিলেন বলেও মনে করছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানান, সুপ্রতীক যে অবসাদে ভুগছিলেন, তার প্রমাণ মিলেছে সুইসাইড নোটে। বাবার বাৎসরিক কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য সেখানে বন্ধুদের অনুরোধ করে গিয়েছেন সুপ্রতীক। তাঁর মৃত্যুতে হতবাক প্রতিবেশীরা জানান, অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন সুপ্রতীক। কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। নিজের মতো থাকতেন। তাঁরা জানান, বাবার মৃত্যুর পরে খানিকটা দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন ওই যুবক।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেল থেকেই সুপ্রতীকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তাঁর এক বন্ধু। তিনিই অন্য এক বন্ধুকে সুপ্রতীকের বাড়িতে পাঠান। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরেও সুপ্রতীক দরজা না খোলায় বন্ধুরা দরজা ভেঙে তাঁকে মেঝেয় পড়ে থাকতে দেখেন। গিরিশ পার্ক থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। নমুনা সংগ্রহ করতে বুধবার ফরেন্সিকের একটি দল সুপ্রতীকের ফ্ল্যাটে যায়।