এমআরআই কক্ষে লোহার তৈরি সিলিন্ডার নিয়ে প্রবেশ করা মাত্রই বিপদ ঘটে সেখানে। প্রতীকী ছবি।
এমআরআই পরীক্ষার ঘরের চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে যে কোনও ধাতব বস্তু নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু, সেই ভুলই করে ফেলেছিলেন ওয়ার্ড বয়েরা। আর তারই খেসারত দিতে হয়েছে শহরের দু’টি হাসপাতালে, ওই পরীক্ষার টেকনিশিয়ানদের। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদের কাটাতে হয়েছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগে। যদিও ঘটনা সম্পর্কে মুখে কুলুপ এঁটেছেন দুই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই।
২০১৮ সালে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে এ ভাবেই এমআরআই পরীক্ষার ঘরে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ঢোকার জেরে খেসারত হিসাবে রোগীর পরিজনের মৃত্যু হয়েছিল। সূত্রের খবর, গত ৩ মার্চ কলকাতার ই এম বাইপাসের ধারে মুকুন্দপুরের একটি হাসপাতালে প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে। এমআরআই কক্ষে লোহার তৈরি সিলিন্ডার নিয়ে প্রবেশ করা মাত্রই বিপদ ঘটে সেখানে। সিলিন্ডার ছিটকে গিয়ে লাগে এক টেকনিশিয়ানের শরীরে। তাতেই তিনি ছিটকে পড়েন। তাঁর কোমর এবং পায়ের হাড় ভাঙে বলে জানা গিয়েছে। চোট লাগে মাথাতেও। তড়িঘড়ি অন্যেরা ছুটে এসে কোনও মতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অন্য দিকে, নিউ টাউন এলাকার একটি হাসপাতালে পরের ঘটনাটি ঘটে ৮ মার্চ। সূত্রের খবর, ওই দিন রাত সওয়া ৯টা নাগাদ সবে মাত্র এমআরআই শেষ করেছিলেন টেকনিশিয়ান। তখনই লোহার সিলিন্ডার লাগানো স্ট্রেচার নিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েন এক কর্মী। মুহূর্তের মধ্যে সিলিন্ডারটি ওই স্ট্রেচার থেকে ছিটকে বেরিয়ে যায়। রোগীকে বাঁচাতে সেটি ধরতে গিয়ে কাঁধে ও পেটে মারাত্মক চোট পান টেকনিশিয়ান। বিকট আওয়াজ শুনে রেডিয়োলজিস্ট-সহ অন্য কর্মীরা ছুটে এসে ওই যুবককে উদ্ধার করেন। এর পরে ওই হাসপাতালেই তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়।
নিউ টাউনের ওই হাসপাতালের তরফে প্রকাশ্যে কিছু বলতে রাজি হননি সেখানকার কর্তৃপক্ষ। তবে, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে, ওই টেকনিশিয়ানের সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণ করছে হাসপাতাল। পাশাপাশি, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর কখনওই না ঘটে, সে ব্যাপারেও যথেষ্ট জোর দেওয়া হচ্ছে।