ভোটের জন্য ক্ষতি হতে পারে কলকাতা শহরের পড়ুয়ারা। — ফাইল চিত্র।
শুধু স্কুলবাসই নয়, পঞ্চায়েত ভোটে স্কুলগাড়িও তুলে নেওয়ায় কয়েকটি স্কুল কাল, শুক্রবার ছুটি ঘোষণা করেছে। বিশেষত, কলকাতার যে সব স্কুলের পড়ুয়ারা হাওড়া বা রাজারহাট সংলগ্ন এলাকা থেকে আসে, সেই সব স্কুলবাস ও স্কুলগাড়ি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কিছু স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছে। কোথাও আবার বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আজ, শুক্রবার কম পড়ুয়া আসবে।
যেমন, গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের নিজস্ব বাস নেই। অভিভাবকদের ঠিক করা স্কুলগাড়িতেই পড়ুয়ারা যাতায়াত করে। সেই সব স্কুলগাড়ির বেশির ভাগই ভোটের জন্য নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের জানিয়ে দিয়েছেন, শুক্রবার স্কুলে পড়ুয়া খুব কম আসবে। কারণ, বেশির ভাগ স্কুলগাড়ি থাকবে না। ফলে পড়ুয়া কম থাকায় সে দিনের পড়াশোনা অন্য দিনের ছন্দে না-ও হতে পারে। এক অভিভাবকের কথায়, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষ ছুটি না দিলেও বোঝাই যাচ্ছে শুক্রবার পঠনপাঠন ব্যাহত হবে। তাই বেশির ভাগ অভিভাবকই ওই দিন স্কুলে মেয়েদের পাঠাবেন না।’’ গোখেল মেমোরিয়াল স্কুল সূত্রের খবর, ওই স্কুলের বহু পড়ুয়া দ্বিতীয় হুগলি সেতু পেরিয়ে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে। হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় ভোট থাকায় সেখানকার বহু স্কুলগাড়িই ভোটের জন্য নিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোট রয়েছে রাজারহাট, নিউ টাউনের গ্রামীণ এলাকাতেও। ওই দুই এলাকার প্রায় সব বেসরকারি স্কুল থেকেই স্কুলবাস ও স্কুলগাড়ি নেওয়া হয়েছে। যেমন, বৃহস্পতিবারের পাশাপাশি নিউ টাউনের নারায়ণা স্কুল, ডিপিএস নিউ টাউন, ডিপিএস মেগাসিটি বন্ধ থাকছে আজ, শুক্রবারও। নারায়ণা স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁদের স্কুল ছুটি হলেও দু’দিনই অনলাইন ক্লাস হচ্ছে। একাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়ার অভিভাবক বললেন, ‘‘মেয়ের অনেক বন্ধুই রাজারহাটের গ্রামীণ এলাকায় থাকে। ওখানে ভোট। ফলে অনলাইন ক্লাস নেওয়াই ভাল।’’
ডিপিএস রুবি পার্ক এবং হেরিটেজ স্কুল কর্তৃপক্ষও জানিয়েছেন, বৃহস্পতি এবং আজ, শুক্রবার স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে। হেরিটেজ স্কুলের অধ্যক্ষা সীমা সাপ্রু বলেন, ‘‘স্কুলের ৭০টি বাস বুধবার রাতেই নিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার স্কুল বন্ধ ছিল। শুক্রবারও বন্ধ থাকবে। ভোট শনিবার। সে দিন এমনিই ছুটি থাকে। পরে অন্য দুটো শনিবার স্কুল খুলে ক্লাস করানোর ইচ্ছা আছে।’’
অন্য দিকে, সাউথ পয়েন্ট কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছেন, তাঁদের পড়ুয়াদের নিয়ে যাতায়াত করে এমন সাত-আটটি স্কুলগাড়ি ভোটের জন্য নেওয়া হয়েছে। তবুও স্কুল খোলাই থাকছে।