গাছ পড়ে বিপত্তি।
ঝড় থেমে যাওয়ার পরে প্রধান রাস্তাগুলিতে পড়ে থাকা গাছের ডালপালা কেটে গাড়ি চলাচলের রাস্তা ফাঁকা করেছিলেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু তার তিন দিন পরেও সে সব রাস্তার ধার থেকে সরানো হয়নি। আর তার জেরেই ব্যাহত হচ্ছে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচলের গতি।
লালবাজার সূত্রের খবর, বুধবার ঝড় কমতেই দেখা যায়, শহরের বহু রাস্তা রুদ্ধ হয়ে গিয়েছে গাছ পড়ে। দ্রুত গাছ কাটার কাজ শুরু করেন ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা। সীমিত যন্ত্রপাতি নিয়ে পার্ক স্ট্রিট, এ জে সি বসু রোড, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড, লেনিন সরণি, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, আশুতোষ মুখার্জি রোডের মতো রাস্তায় পড়ে থাকা গাছের ডাল কেটে একটি বা দু’টি গাড়ি যেতে পারার মতো ব্যবস্থা করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের প্রধান রাস্তাগুলি দিয়ে শুরু হয় গাড়ি চলাচল। কিন্তু গোলমাল বাধে শুক্রবার থেকে। লকডাউনের ছাড় মেলায় ওই দিন থেকেই রাস্তায় বেড়ে যায় গাড়ির সংখ্যা। শুক্রবার গাড়ি অন্য দিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি ছিল বলে দাবি ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তাদের। এর সঙ্গে যুক্ত হয় বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধের ঘটনা। তবে লালবাজারের এক কর্তা জানান, শনিবার শহরের বিভিন্ন রাস্তায় অবরোধ হলেও গাড়ির সংখ্যা কম ছিল।
পুলিশের দাবি, ট্র্যাফিক গার্ড কিংবা থানাগুলির কাছে গাছ কাটার সরঞ্জাম অপ্রতুল। তা সত্ত্বেও কাজ চালানোর জন্য গাছ কেটেছে পুলিশ। সূত্রের দাবি, পুরসভার পক্ষ থেকে বাকি গাছপালা কেটে তা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা হয়নি।
পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, কলেজ স্ট্রিট, ম্যাডান স্ট্রিট কিংবা বেলেঘাটা চাউলপট্টি রোডের মতো শহরের বিভিন্ন রাস্তায় এখনও বড় গাছ পড়ে রয়েছে। সেগুলি পুলিশকর্মীরা কেটে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বুধবার রাত থেকে শহরের থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডগুলি গড়ে ৫০টি করে গাছ কেটেছে বলে দাবি লালবাজারের কর্তাদের।